saf স্টাফ রিপোর্টার :: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, নারীকে সম্মানের স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার ব্যাপক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। তৃর্ণমূল পর্যায়ে যখন ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয় তখন অনেক নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে তৃর্ণমূল থেকে রাজনীতির সকল পর্যায়ের নারীর অংশগ্রহন নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন সংগ্রাম ও নির্যাতনের বিভীষিকা পেছনে ফেলে যে সমস্ত নারী সফল হয়েছেন তাদেরকে জয়িতা খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে।

তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শিল্প কলা একাডেমী মিলনায়তনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনের যৌথ আয়োজনে ‘ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম এর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম রেবেকা মোমেন এমপি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মাহমুদা শারমিন বেনু, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা প্রমুখ।

সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, নারীকে যদি আমরা প্রকৃত ভাবে ক্ষমতায়িত করতে চাই তাহলে তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসাবে তৈরী করতে হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নারীদের উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলার কাজ করছে।

ঢাকা বিভাগের ১৩ টি জেলার ৬৫ জন নারীর মধ্যে থেকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে মোট ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতা জয়িতা নির্বাচন করা হয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্যের জন্য বেগম রহিমা সরকার, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য রোকেয়া বেগম, সফল জননী হিসেবে সাজেদা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করার জন্য কুঞ্জি রানী সূত্রধর এবং সমাজ উন্নয়নের অসামান্য রাখার জন্য বেগম ইসরাত জাহানকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা-২০১৮ এ ভূষিত করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here