নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সাতখুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নরসিংদী থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মুহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে একজন নারী রয়েছে জানালেও তাদের বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি তিনি।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে নারায়ণগঞ্জে এর আগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে নূর হোসেন ও হাজি মো. ইয়াসিনসহ মামলার আসামিদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
যে স্থান থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে তুলে নেয়া হয়েছিল এবং যে স্থানে তাদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সকালে দুটি স্থান দেখে আসেন পুলিশ সুপার খন্দকার মুহিদ।
আলোচিত এই ঘটনার পর নরসিংদী থেকে নারায়ণগঞ্জের এসপির দায়িত্বে আসা মুহিদ সকাল ১০টার দিকে শিবু মার্কেট এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে যান।
গত ২৭ এপ্রিল এই স্থান থেকে দুটি গাড়িতে থাকা নজরুল ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাদের সঙ্গীদের ধরে নেয়া হয়েছিল।
ফতুল্লা থানারধীন শিবু মার্কেট থেকে মুহিদ যান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া শান্তিবাগ এলাকায়।
গত ৩০ এপ্রিল অপহৃতদের লাশ নদীতে ভেসে ওঠার পর তা তোলা হয়
গত ৩০ এপ্রিল অপহৃতদের লাশ নদীতে ভেসে ওঠার পর তা তোলা হয়
অপহরণের তিন দিন পর এই এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে উঠেছিল।
প্রথমে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ফজলুল হক তালুকদার এই মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আউয়ালকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
তবে আউয়ালের সঙ্গে প্রধানন আসামি নূর হোসেনের সথ্যের অভিযোগ নজরুলের পরিবার তোলার পর বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে ডিবির ওসির মামুনূর রশীদ মণ্ডলকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে র্যাবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় এই বাহিনীকে তদন্ত সংক্রান্ত কাজ থেকে দূরে রাখতে বলেছে আদালত।
এদিকে আইনজীবী চন্দন সরকারের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী প্রতীকী অনশন করছে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি।
বেলা ১২টায় আদালত প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
নিহত চন্দন সরকারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে এই আইনজীবীর বাড়িতে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।