মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :: খুলনার পাইকগাছায় নানা অনিয়মে কেজি প্রতি ১০ টাকা চাল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। উপজেলায় ২টি বাদে ৮ইউপির দু’মাসের বরাদ্ধ ফেরৎ গেছে।
চাল বিক্রি বন্ধ থাকায় হতদরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত ও ডিলাররা ভেঙে পড়েছে। সরকারের জনপ্রিয় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় পর পর দু’মাস দরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রি বরাদ্ধ বাতিল হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অনুষ্ঠেয় খাদ্য কমিটির জরুরী বৈঠক থেকে এ তথ্য সহ তালিকায় স্বচ্ছল, ধনী, বিদেশ প্রবাসি, স্বামী-স্ত্রী দম্পতি তালিকাভুক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে চাঁদখালী, হরিঢালী, রাড়-লী, লস্করের একটি ওর্য়াডে এ কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে।
খাদ্য কমিটির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান স ম বাবর আলী, ভাইস চেয়ারম্যান মওঃ কামাল হোসেন, শাহানারা খাতুন, কৃষিকর্মকর্তা এইচ এম আলাউদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস, রুহুল আমীন বিশ্বাস, জোয়াদ্দার রসুল বাবু, কওসার আলী জোয়াদার, কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন, এস এম এনামূল হক, রিপন মন্ডল, জুনায়েদুর রহমান, খাদ্য বিভাগের মনিরুল ইসলাম সিদ্দিকি ও তরুন বালা সহ সংশ্লিষ্ঠ কমিটির সদস্যরা।
আগামীদিন বৃহস্পতিবার অঙ্গীকার নামাসহ শংশোধনী তালিকা জমা দানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুশরন না করলে অনুমোদন মিলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ উল মোস্তাক।
ইতিপূর্বে কয়েকবার তালিকা জমা, ফেরৎ, সংশোধনী হলেও পরিপূর্ণ তালিকার অভাবে কপিলমুনি, গড়-ইখালি বাদে অন্য ৮ ইউপির ৫ মাসব্যাপি কর্মসূচির ২মাসের বরাদ্ধ ফেরৎ গেছে। এ খবরে নিয়োগ প্রাপ্ত ডিলারসহ সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের সদস্যরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
এদিকে কপিলমুনি ইউপিতে স্বচ্ছল, ধনী ও একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তির নামে তালিকা তৈরীসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।