নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী ও বোকো হারাম বন্দুকধারীদের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। খবর: বিবিসি অনলাইন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি বাহিনী ও বোকো হারাম বাহিনীর সাথে এ সংঘর্ষ চলছে।
শনিবার দামাতুরু শহরে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৫০ জন বোকো হারাম বিদ্রোহী নিহত হয়। এছাড়া আলাদা সংঘর্ষে মাইদুগুরি শহরে আরো ১১ জন নিহত হয়।
সংঘর্ষে সাত জন পুলিশ ও দুইজন সেনা সদস্য নিহত হয় বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজুবুইকি ইহেজিরিকা বলেন, ‘দামাতুরু শহরে বোকো হারামের সদস্যদের সাথে চলা সেনাবাহিনীর দীর্ঘ বন্দুকযুদ্ধে ৫০ জনের বেশি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।’
স্থানীয় রেডিওকে তিনি আরো বলেন, বিদ্রোহীরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও বোমা নিয়ে হামলা চালালেও আমাদের প্রশিক্ষিত বাহিনী তাদের কাবু করতে সক্ষম হয়।’
জোব রাজ্যের রাজধানী দামাতুরুর পুলিশ কমিশনার তানকো জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
দামাতুরু শহরের বাসিন্দা সুলিমান নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, শনিবার কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বোমা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
এছাড়া বরনো রাজ্যের রাজধানী মাইদুগুরিতে এক সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে বলে সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মাদুগুরি শহর সাহারা মরুভূমির প্রবেশদ্বার। এটা বোকো হারামের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত।
প্রসঙ্গত, বোকো হারাম বাহিনীর সদস্যরা মুসলিম। তারা নিজেদের জন্য পশ্চিমা শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেছে। তাদের দাবি, পশ্চিমা শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং নাইজেরিয়াকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
২০০৯ সালে মাদুগুরিতে এক পুলিশ স্টেশনে হামলার মধ্য দিয়ে এই বাহিনী আত্মপ্রকাশ করে। সে সময় দলটির কয়েকশ’ সদস্য নিহত। এছাড়া ওই সময় বোকো হারামের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে সরকারি বাহিনী।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক