আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্য আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় গত তিন দিনে অন্তত ১৩৫ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা।
দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য বোর্নোর সিনেটর আহমেদ জান্নাহ’র বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার রাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
বোর্নোর সিনেটর দাবি করেন, অন্তত দু’টি পৃথক হামলায় ১৩৫ জন বেসামরিক লোককে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারীরা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বোকো হারাম সংগঠনের সদস্য বলে ধারণা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, চলতি বছর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অস্থিতিশীলতায় অন্তত দেড় হাজার লোক নিহত হয়েছে। এদের অর্ধেকেরই বেশি বেসামরিক লোক।
এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বোকো হারামের পাশাপাশি নাইজেরিয়ার সরকারি বাহিনীর অনিয়ন্ত্রিত পাল্টা আক্রমণকেও দায়ী করছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
আহমেদ জান্নাহ জানান, প্রথমে দিকবা শহরের একটি টিচার ট্রেইনিং কলেজ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। সেখানে পাঁচজনকে হত্যা ও বেশ ক’জন নারীকে অপহরণ করা হয়।
হত্যাকাণ্ড চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার আগে কলেজটি সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।
এরপর ক্যামেরুনের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে আরও ১৩০ জনকে হত্যা করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
এ দু’টি হামলাই বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ঘটনা। প্রাথমিকভাবে এ দু’টি হামলায় ৭০ জন নিহত হওয়ার দাবি করা হয়েছিল।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি নাইজেরিয়ান সেনাবাহিনী।
গত বছর থেকেই অস্থিতিশীল নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বোর্নো, যোবে ও আদামাবা রাজ্যে জরুরি অবস্থা চলছে।
অ্যামনেস্টির অভিযোগ, বোকো হারামের হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণ চালাতে গিয়ে গত মাসে প্রায় ছয়শ’ লোককে হত্যা করেছে নাইজেরিয়ান সেনাবাহিনী।