শিপুফরাজী, চরফ্যাশন প্রতিনিধি :: ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রবিবার থেকে নতুম উদ্যমে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা।
গত ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের ইলিশ প্রজনন মৌসুম শেষ হয়েছে আজ রবিবার রাত ১২টায়। ফলে গত ২২ দিন ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেরা জাল ফেলা বা মাছ শিকার বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর অনেক জেলে রবিবার রাত ১২টার পর থেকেই নদ-নদী ও সাগরে নতুন উদ্যমে ইলিশ শিকারে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলা খাল এলাকার মেঘনার পাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা খালে ২০-২৫টি মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার ও জাল নিয়ে জড়ো হয়েছেন প্রায় অর্ধশত জেলে। তাদের উদ্দেশ্য মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকারে নেমে পড়া। মেঘনার পাড়ে অনেক জেলে নদীতে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে জাল বুনছেন, কেউ কেউ নদীতে নৌকা নামাচ্ছেন। নিচ্ছেন ইলিশ শিকারের ব্যাপক প্রস্তুতি।
মেঘনার পাড়ে এ ব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় জেলে ইউনুছ মাঝি হাবিবুল্লাহ, আব্দুর রহিম, হাসেম মাঝি এবং সাদ্দাম মাঝিসহ ১০-১২ জন জেলের সঙ্গে। তারা জানান, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী ও সাগরে এ বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই এ বছর সরকারের ইলিশ প্রজনন মৌসুমে জেলেরাও নদীতে জাল ফেলা বন্ধ রেখেছেন।
জেলে ইউনুছ মাঝি বলেন, আমরা এইবার খুশি। জেলেরাও সরকারের আইন মানছে। তিনি বলেন, মাছের দালালদেরকেও বলে দেওয়া হয়েছে তারাযেন কোন ভাবে জেলেদেও নদীতে না পাঠায় এসময়। এবার ভোলার নদ-নদীতে জেলেরা কোনো জাল ফেলেনি। তাই সরকারের অভিযানও সফল হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, এ বছর নদ-নদী ও সাগরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনেছেন। তাই জেলেরা নদীতে জাল ফেলেনি। ফলে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের অভিযানও সফল হয়েছে। তিনি বলেন, রূপালী ইলিশসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমরা সচেষ্ট। সামনে জাটকা নিধন অভিযান রয়েছে। নেই লক্ষ্যেও আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।