ডেস্ক নিউজ :: সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত ও লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে অন্যান্য অংশীদারের সঙ্গেও কাজ করার কথা জানিয়েছে তারা। গতকাল রবিবার জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জাতিসংঘের ২০৩০ সালের বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে এসডিজির ১৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ, সুশাসন ও আইনের শাসন বাস্তবায়ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের নতুন নির্বাচত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে জাতিসংঘ। সর্বজনীন মানবাধিকার চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতি রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করে বৈশ্বিক এ সংস্থাটি।
বার্তায় আরও বলা হয়, সব দেশের মতোই এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া মানবাধিকার কাউন্সিলের নতুন সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সক্রিয় ভূমিকাকে স্বাগত জানানো হয়। শেখ হাসিনাকে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর দূতদের অভিনন্দন টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, সার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও হাইকমিশনাররা। নতুন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সাফল্য কামনা করেন তারা।
রবিবার বিকালে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের ১৭ সদস্যদের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে গণভবনে যান। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। প্রধামন্ত্রীকে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আপনার নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে সম্মিলিতভাবে আপনাকে স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য খুবই সম্মানের। শক্তিশালী বাংলাদেশ শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহর প্রতিচ্ছবি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক, কুয়েত, মরক্কো, মালদ্বীপ, ইরাক, ওমান, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের কূটনীতিকরা বক্তব্য দেন। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবে নির্বাচনে এই বিজয় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
অতিথিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, মানুষ এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে। নির্বাচনে সেজন্যই আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে চাই, যেন তারা খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ অন্য সুবিধাগুলো পায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।