নওগাঁ সিভিল সার্জন ডাঃ আলাউদ্দিনের নারী কেলেঙ্কারি (শেষ পর্ব)নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁ সিভিল সার্জন অবিবাহিত ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন তার সরকারী অফিস চলাকালিন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সাথে ও অপরিচিত মহিলাদের আনা গোনা রয়েছে। এ সময় অফিস ফাঁকি দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটান বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ও স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার জানিয়েছেন, নারী কেলেঙ্কারিতে ধামাচাপা দেয়াসহ মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে।

এ দিকে বিভিন্ন অনিয়য়, সেচ্ছাচারিতা ও নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে জেলায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চললেও ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেয়ার জন্যে রহস্যজনক ভাবে কতিপয় সরকারি কর্মকতাগণ, বিভিন্ন মহল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় জেলার প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাদের মধ্যে তোলপার চলছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবিবাহিত ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন পত্নীতলায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হিসাবে ২০০৩/০৪ সালের দিকে থাকা অবস্থায় উপজেলার নজিপুরের একটি ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে উপজেলার ইসাপুর গ্রামের শারমিন নামে এক কর্মীর সাথে অসামাজিক অবস্থায় স।থানীয়রা হাতে নাতে আটক করেন। পরে ওই মহিলাকে এক লাখ ও স্থানীয়দের মোটা অংকের টাকা দিয়ে রক্ষ পান।

একই সময় স্বাস্থ্য বিভাগের এফডব্লিউ’র মাঠ কর্মী তহমিনা নামে অপর এক মহিলার সাথে অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন। এরপর বিভিন্ন এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলাফেরা শুরু করেন।

এক পর্যায় এলাকাবাসির নজরে এলে ধরে বসেন মোঃ আলাউদ্দিনকে। তখন তিনি বিয়ে করেননি ও তার সাথে কোন সম্পর্ক নাই বলে দাবি করলেও তহমিনা বিয়ের সকল কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন।

কিন্তু তাতেও অস্বীকার করলেও তহমিনা আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

পত্নীতলা উপজেলাবাসি জানিয়েছেন, ২১ বছর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পত্নীতলা হাসপাতালের শাপলা ভবন ব্যবহার করে আসছেন। সিভিল সার্জন মোঃ আলাউদ্দিন বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ভবনে আসেন। কারণ এলাকায় একাধিক মহিলার সাথে সখ্যতা আছে।

দুই-তিন দিন অবস্থান করে শনিবার সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে চলে যান।

রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারি মোঃ রাজু আহমেদ এর সহিত সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আলাউদ্দিনের ব্যক্তিগত সখ্যতা থাকায় তাকে রাণীনগর হতে সদর হাসপাতালে প্রেষণে বদলী করে নিয়ে আসা হয়।

এরপর থেকে রাজু আহমেদকে হাসপাতালের কেবিন দেখভালের দায়িত্ব দেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালে মোঃ রাজু আহমেদ যোগদান থেকে সিভিল সার্জন হিসাবে ডা. মোঃ আলাউদ্দিন আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে বহিরাগতদের দিয়ে সেই আদি ব্যবসা (দেহ ব্যবসা) হাসতাপাতালের কেবিনে শুরু হয়।

এ দিকে তার যোগসাজশে কেবিনের ভর্তিকৃত রোগিদের কাছ থেকে কেভিন ভাড়ার টাকা উত্তোলন করেন আর সরকারি খাতায় জমা না দিয়ে তার পকটস্থ্য করার অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও অফিস ষ্টাফদের নজরে আসলে গত কয়েক মাস আগে এক দেহ ব্যবসায়ীর সাথে রাজুকে হাতে নাতে আটক করে।

এ সময় রাজুকে মারপিট করে বেধে রাখা হয়। পরে সিভিল সার্জনোর নেতৃত্বে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় রাজু আহমেদের সাথে সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি এবং সাংবাদিকের পরিচয় শুনে সেল ফোনের লাইন কেটে দেন।

এদিকে নওগাঁর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন কোন নারী কেলেঙ্কারি মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন, ওই মহিলা তাকে মিথ্যা ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তহমিনার দায়ের করা দুটি মামলার একটিতে তার পক্ষে রায় দেন আদালত। আর অপরটি মামলাটির স্থগিত হয়ে যায়। একটি মহলকে তাদের অনৈতিক সুযোগ সুবিধা না দেয়া ও হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here