ডেস্ক নিউজ :: উল্কার মতো গতি নিয়ে আবারও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল এক গ্রহাণু। দেখতে অবিকল মাথার খুলির মতো! তিন বছর আগে ৩১ অক্টোবর পৃথিবীর একেবারে কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল এমন এক গ্রহাণু। তিন বছর পর ২০১৮ সালে আরেকবার পৃথিবীর দিকে আসছে আরেকটি গ্রহাণু। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই গ্রহাণুও পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে।
এ নিয়ে কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ভীত সন্ত্রস্ত্ম। কেউ বলছেন, যদি এটি আঘাত করত, তবে ধ্বংস হতে যেত একটি শহর। আবার অনেকের মতে, ৭০ শতাংশ নিশ্চিত, এটি পানিতেই পড়ত। ফলে সুনামি হতো। তবে বিজ্ঞানীরা এখন মোটেও এসব নিয়ে চিন্ত্মিত নন। তারা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে খুলি-গ্রহাণুর আঘাত হানার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।
বরং বিজ্ঞানীরা গোটা বিষয়ে বেশ খুশি। কারণ, দ্বিতীয়বার ওই গ্রহাণুটিকে পরীক্ষা করার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। তবে তারা জানিয়েছেন, গতবারের মতো, এবার খুব কাছ দিয়ে গ্রহাণুটি যাবে না। দূরত্ব থাকবেই। তাই বড় টেলিস্কোপ না থাকলে দেখা যাবে না এই গ্রহাণুকে।
এ নিয়ে আন্দালুসিয়ার একটি ইন্সটিটিউট ‘নভোবিদ্যা’র পাবলো শান্ত্মোষ সানজ বলেন, ‘মাথার খুলির মতো গ্রহাণুটি আগের মতো পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে না গেলেও আমরা এ সম্পর্কে নতুন কিছু ডেটা সংগ্রহ করতে পারব। এই ডেটা আমাদের গ্রহাণুটি সম্পর্কিত জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে। এছাড়া আমাদের গ্রহের কাছাকাছি আছে, এমন ধরনের গ্রহাণু সম্পর্কে নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাবে।’
বর্তমানে পৃথিবী থেকে ৩.৭ মহাকর্ষীয় ইউনিট দূরত্বে রয়েছে গ্রহাণুটি। তবে প্রায় দুই হাজার ৫০০ ফুট লম্বা গ্রহাণুটির গতি যথেষ্টই। যদিও পৃথিবীকে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই খুলি-গ্রহাণুর, তবু এটার আকার দেখে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদি এটি আঘাত হানত, তবে ছড়িয়ে পড়ত এর প্রলয়ঙ্কারী প্রভাব। যদি গ্রহাণুটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেত, তাহলে কমপক্ষে দুটি শহর সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।