সুলতান মাহমুদ আরিফ :: কতটুকু অসভ্য হলে এমন হীন কার্য সম্পাদন করতে পারে ড্রাইভার নামক নরপিশাচের দল। আইনের সর্বোচ্চ শাসন হতে হবে জনগণের সম্মুখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যেই পথে ধর্ষণ হচ্ছে আমাদের অসহায় নারী সমাজ, ঠিক সেই পথে তাদের যৌনাঙ্গ কেটে কুকুরের খাদ্যবস্তু বানানোর মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়। অশিক্ষা- কুশিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দিয়ে রাজপথে সড়ক চলাচল যেন বর্তমানে ধর্ষণের মহড়া।
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের মত ফ্রি সেক্স এর দেশ না হওয়ায় কি এরা এমন কার্য সম্পাদন করতে বাধ্য হচ্ছে !! সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বাসের ভিতরে কিংবা কালো রাস্তায় ড্রাইভার ও হেলপার এবং জোর পূর্বক ধর্ষণকারী বাহিনীর হাতে ইজ্জত সম্ভ্রম হারানোতে এগিযে যাচ্ছে বাংলাদেশ! লাগাম টেনে ধরার সময় যত পার হয়ে যাবে, ওদের যৌন লোভনীয় কুৎসিত কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে।
গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলে ধর্ষণে মেতে উঠা অসভ্য ড্রাইভারদের মধ্যে অন্যতম নাজমুলের প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করা নিয়ে আমি এত বিব্রত নই। যে দেশে ভার্সিটি পড়ুয়া স্বাবলম্বী মেয়ে হয় বাসের ভিতরে এদের যৌনক্ষুদা নিবারণের উপায়ন্তর। সে দেশে এরকম হাজারো প্রতিবন্ধী এবং রাস্তায় ঘর- বাড়ী হীন অসহায় নারীরা ওদের যৌনখায়েসের বস্তু হওয়া অবাস্তব কিছু নয়!
হয়তোবা কিঞ্চিৎ প্রকাশ পাচ্ছে ওদের প্লান মিসটেকের কারণে।কিন্তু নিরবে বাস কিংবা অন্য উপায়ন্তরে এরকম হাজারো নারীরা হারাচ্ছে তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম। মানসম্মান কিংবা বিয়ে জীবনের কথা চিন্তা করে ধর্ষিতা বোনটি নিশ্চুপ হয়ে থাকে আজীবন। যারা ধর্ষণে মেতে উঠছে তাদের কি একবারের জন্যও ভাবা উচিত নয়? তাদের বাড়ীতে যে মা- বোন আছে ওদের বেলায় যদি এমন জোর পূর্বক ধর্ষণ হতো তাহলে কেমন হতো নিজের চিন্তা- চেতনার?? কিন্তু এরকম চিন্তা আনয়নের জন্য তো মানুষত্বের সর্বোচ্চ জায়গাটা থাকা বাঞ্ছনীয় ।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ ড্রাইভার কিংবা হেলপারগণ উঠে এসেছে সু-শিক্ষা কিংবা একেবারেই শিক্ষাহীনতার মধ্য দিয়ে। এদের মধ্যে এরকম ভালো চিন্তার উদয় হওয়াটাও অযৌক্তিক । হতবাক হওয়ার মত কান্ড! বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ বছরের অবুজ শিশু থেকে শুরু ৬০ বছরের বুড়ি পর্যন্ত নিস্তার পাচ্ছে না এদের ধর্ষণীয় চেষ্টা – প্রচেষ্টা থেকে!
পত্রিকার পাতা খুললেই ইদানিং কাল শুধু সড়ক এক্সিডেন্ট কিংবা নারী ধর্ষণ বৈ আর কিছুই নজর পড়ছে না। আরো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমরা এটার যথার্থ আজ্ঞাবহ বিচার দাবী করছি। সড়কে জান- মালের নিরাপত্তার সহিত সরকার কর্তৃক নারীদের ইজ্জতের ও নিরাপত্তার জোর দাবী জানাচ্ছি ।শাস্তি হোক দৃষ্টান্তমুলক তড়িৎ গতিতে। সচেতন হোক অন্যান্য ধর্ষণকারীগণ। বাংলাদেশ হোক অন্যান্য দেশের জন্য আদর্শিক মডেল। এই কামনায় সর্বোচ্চ বিচার দাবী করছি ধর্ষণে মেতে উঠা অসভ্য প্রজাতির ।
লেখক: অনার্স ৩য় বর্ষ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা।