নারায়ণগঞ্জ : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেছেন, ধর্ম যার যার দেশটা সবার। এ দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এ দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা থাকবে। কিছু জঙ্গী সংঘঠন দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

রোববার রাতে লাঙ্গলবন্দ পূর্ন সস্নান উৎসব অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের অনেক জায়গায় সামপ্রদায়িক দাঙ্গা হলেও নারায়ণগঞ্জে তা হয়নি। কেন হয়নি তা এসে চোখে দেখে গেলাম। ঐতিহ্যবাহি জোহা পরিবারের কারণে সেটি ঘটতে পারেনি। অসামপ্রদায়ক চেতনা সেটা দেখে গেলাম।

এটা আমার কোন শিডিউল কর্মসূচি ছিলনা তবুও আপনাদের টানেই এখানে এসে ধর্মীয় উৎসব পর্যবেক্ষণ করলাম। সিকিউরিটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যদি প্রয়োজন হয় ঢাকা থেকে আরো ফোর্স নেওয়া হয়। ফায়ার ব্রিগেড, আয়োজনে কোন ক্রটি নেই উলেস্নখ কওে বলেন, সিকিউরিটি ব্যবস্থা খুবই ভাল।

বঙ্গবন্ধু যিনি জন্ম না নিলে বাংলাদেশ হতোনা। তিনি একটা কথাই বলে গেছেন তুমি কে আমি কে বাঙালি। আর বাঙালি কারা যিনি হিন্দু, বেদ্ধ খ্রীস্টান, মুসলিম সকলেই বাঙালি। এখানে অনকেইে আমরা সামপ্রদায়িক চেতনা উর্ধ্বে।

স্নান উৎসব কমিটির সভাপতি পরিতোষ কানিত্ম সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জতীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেব নাথ এমপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনোজকান্তি বড়াল, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজমীন, এড. খোকন সাহা, ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির বাবু চন্দন শীল, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ।

স্নান উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব চক্রবর্তির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম সম্পাদক মানিক চন্দ্র সরকার, বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মাহমুদা মালা, জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল জাহের, রিপন ভাওয়াল, শাহ আলম, বাশার ভ’ইয়া, রোটারিয়ান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, থানা যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন স্বপন, উপসহকারী কৃষি অফিসার আলী হোসেন মোলস্না উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় পূজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন।

নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে রোববার থেকে দুদিন ব্যাপি সস্নানোৎসব শুরম্ন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশ বিদেশের লক্ষ পুণ্যার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে লাঙ্গলবন্দের তিন কিলোমিটার এলাকা। ‘হে মহাভাগ ক্রহ্মপুত্র, হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ কর’ এ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে জগতের যাবতীয় সংকীর্নতা ও পঙ্কিলতার আবরনে ঘেরা জীবন থেকে পাপমুক্তির বাসনায় হিন্দু পুন্যার্থীরা ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নান শুরু করবে।

রবিবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫মিনিট ১১ সেকেন্ড থেকে শুরু হওয়া তিথি শেষ হবে সোমবার রাত ৩টা ৪৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে। স্নানোৎসব সুষ্ঠ ও নিরাপদ করতে সেখানে পুরো তিন কিলোমিটার এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

এম আর কামাল/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here