দেশে কোথায়ও শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোথায়ও শ্রমিক অসন্তোষ নেই। আমাদের দেশের পোশাক কারখানা অনেক ভালভাবে চলছে।’ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জার্মানির রাষ্টদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) শ্রমিক সংগঠন হবে কি হবে না তা নিয়ে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আজ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেটি এ আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্য। সেখানে ৫৫ শতাংশ রপ্তানি হয়। অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যের কোটা সুবিধা আমরা পাচ্ছি।’

মন্ত্রী জানান, ‘ইপিজেড এ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিক ইউনিয়ন করা হয়নি। তবে সেখানে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউডব্লিউএ) রয়েছে। তাদেরও বারগেইনিং ক্যাপাসিটি রয়েছে। ‘

তোফায়েল আহমেদ জানান, ‘তবে অনেকের দাবি আছে, সেখানে আইএলও এর নিয়মানুযায়ী ট্রেড ইউনিয়ন চালু হউক। সেটি আমাদের বিবেচনায় আছে।’

মন্ত্রী জানান, ‘আমাদের যে শ্রম আইন রয়েছে, সেটি আইএলও এর সঙ্গে সামাঞ্জস্য পূর্ণ। শুধু ইপিজেড এ ট্রেড ইউনিয়ন নেই। সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি কি করা যায়।’

১৮ মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ’১৮ মে আমরা সার্বিক বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বসবো। সেখানে অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।’

সভায় ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি) অ্যান্ড জার্মান কনফেডারেশন অব দ্য ট্রেড ইউনিয়ন (ডিজিবি) এর ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল সোমার বলেন, ‘বাংলাদেশ জার্মানির বিশ্বস্ত বন্ধু। অত্যন্ত সুন্দর সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান। রানা প্লাজা ধ্বসের পর যেভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা এবং যথাযথ পদক্ষেপের কারণে এই পরিস্থিতি থেকে এতো দ্রুত উত্তোরণ সম্ভব হয়েছে।’

দেশের শ্রম আইন আরও আধুনিক ও আইএলও এর মান অনুযায়ী হতে হবে জানিয়ে মাইকেল সোমার বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে শ্রম আইনকে আধুনিক করতে হবে। স্যোসাল ডায়লগ ও নেগোসিয়েশন বাড়াতে হবে। শ্রমিক ইউনিয়নকেও আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে আলোচনার মধ্যমে সমাধানে পৌছানোর মানসিক অবস্থা তৈরি করতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্জ প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here