দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার এ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান রায় প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার মতে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মায়ার সংসদ সদস্য পদ থাকা উচিৎ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি বিতর্কের বিষয়। সুতারং এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে।’
মায়ার আইনজীবী আব্দুল বাসেদ মজুমদার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি ১৪ জুন (রবিবার) দুদকের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এর ফলে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল হয়ে যায়। ওই দিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
সাত বছর আগে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ১/১১ সরকারের সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা এবং তার প্রায় ছয় কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত।
২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় বাতিল করে আদেশ দেন।
এর আগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মায়ার বিরুদ্ধে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।