আ হ ম ফয়সল:নারীর ক্ষমতায়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে আগামী ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের বাজেটে মার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবী করেছেন বিশিষ্ট জনরা। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে বেসরকালী সংস্থা ডরপ ও দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবী জানান।
আজ ১১ মে রবিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লউঞ্জে ‘বাজেট ভাবনা: সংগ্রামে উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচনে মা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘বাজেটে সহজগম্যতার স্বপ্ন শিরোনামে ডর্প প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার লরিয়েট এএইচএম নোমান ও সংগ্রামে উন্নয়নে দারিদ্র্য বিমোচনে মা শিরোনামে দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ও মহিলা অঙ্গন বিভাগীয় সম্পাদক রাবেয়া বেবী মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
প্রিয় রঞ্জিনীর পরিচালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য শিরীন আক্তার ও কেয়া চৌধুরী, ভাস্কর্য শিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, কবি রুবী রহমান, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারহা কবির, সাংবাদিক নাদিম কাদের, সংঙ্গীত শিল্পী ফাহমিদা নবী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদিরা খাতুন প্রমূখ।
ডর্প প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান বলেন, দরিদ্র মায়েদের অধিকার সংরক্ষণে মাতৃত্বকালীন ভাতা মৃত্যু হ্রাস, মাতৃদুগ্ধ পানের হার বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থায় উন্নত পুষ্টি খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি, প্রসব ও প্রসবোত্তর সেবা বৃদ্ধি, ইপিআই ও পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের হার বৃদ্ধি, যৌতুক তালাক ও বাল্যবিবাহ প্রবণতা রোধ সর্বোপরি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদান রাখছে। এ জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতার সংখ্যা ও পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারকে এ ধরনের সামাজিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে অনুশীলনকৃত মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রিক স্বপ্ন প্যাকেজ কার্যক্রম এক প্রজন্ম তথা ২০ বছর মেয়াদে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ রূপে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব। এএইচএম নোমান এ জন্য আগামী বাজেটে স্বপ্ন প্যাকেজ বাস্তবায়নে বরাদ্দ দাবী করেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের মহিলা অঙ্গন বিভাগীয় সম্পাদক রাবেয়া বেবী বলেন, নিজেদের অবস্থান তৈরির ব্যস্ততায় আমরা ভুলে যাই মায়ের প্রয়োজনকে। আজ আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার হার কমেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মায়ের অংশগ্রহণ বাড়ছে। কিন্তু সেইভাবে বাড়ছে না মায়ের জন্য সুযোগ সুবিধা। জেন্ডার বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বাজেটে মায়ের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। জেন্ডার বাজেট প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করতে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মা যাতে আয় করতে পারে সে জন্য তথ্য-প্রযুক্তি মায়ের হাতে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন ভোকেশনাল ট্রেনিং এ মায়ের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দুর্ঘটনায় আহত মায়েদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিবন্ধি মায়েদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।