এনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: এবারও বান্দরবান শহরের রাজারমাঠে স্থাপিত হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৃহত্তম শারদীয় পূজামনডপ। দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক কারুকার্যে নির্মিত রাজারমাঠে স্থাপিত এই পূজামন্ডপে সোমবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন করে দেবিরমুখ উন্মোচনের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক পূজা-পর্বণ শুরু হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলায় এবার ছোট-বড়মিলে ২৮টি পূঁজামন্ডপে শারদ উৎসব শুরু হয়েছে গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকেই।
জেলা শারদ উৎসব উদযাপন কমিটির কর্মকর্তা নিখিল দাশ জানান,সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের রাজারমামাঠে স্থাপিত কেন্দ্রীয় শারদীয় দুর্গা পূজামন্ডপে নির্মিত দেবিরমুখ উন্মোচনের মধ্যদিয়েই হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদ উৎসবের সূচনা করা হয়েছে।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী,সদর সেনা জোন অধিনায়ক লে.কর্ণেল. মোহাম্মদ আমিন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.কামরুজ্জামান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। পূজামন্ডপে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমেছে।
হিন্দু সস্প্রদায় ছাড়াও মুসলিম সমাজ এবং উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ কার্যত গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকেই জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শারদ পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে আসছেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় শারদ উৎসব উদযাপন কমিটির নেতা লক্ষীপদ দাস জানিয়েছেন, এবারের কেন্দ্রীয় দুর্গা পূঁজামন্ডপসহ জেলায় স্থাপিত সবগুলো পূঁজামন্ডপেই নিয়োজিত রয়েছেন পর্যাপ্ত পুলিশসহ নিরাপত্তাকর্মী।
গুরুত¦পুর্ণ পূজামন্ডপসমুহের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই বেশকটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে নানাস্থানে। এসব পূজামন্ডপের জন্য পার্বত্য মন্ত্রাণালয়, পার্বত্য জেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসন,সেনা প্রশাসন এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্ট থেকে আর্থিক অনুদানও প্রদান করা হয়েছে।
এবারে জেলায় সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি ভাল থাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদ উৎসব নির্বিঘেœই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার বিকেলে দশমী পালনের মধ্যদিয়েই শারদ উৎসবের ইতিটানা হবে