ananda_bazar_potrikaব্রিকস এবং বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার ভারত যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের ব্যস্ততা কাটিয়ে রবিবার রাতেই মুখোমুখি বৈঠকে বসেন শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি। সেখানে তিস্তা চুক্তি নিয়ে জটিলতা শীঘ্রই কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানান তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বৈঠকে তিস্তার পানিচুক্তি নিয়েও তাগাদা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবে তার আগে, অর্থাৎ আগামী বছরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এই চুক্তিটি সম্পাদন করতে চায় ঢাকা, সে কথা মোদিকে জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা আর শুধু পানিচুক্তি নয়, বাংলাদেশের জনমানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতকে লাগাতার সহযোগিতা করে আসছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মাটিতে থাকা ভারত-বিরোধী জঙ্গি ঘাঁটিগুলো নির্মূল করা হয়েছে। প্রতিদানে তিস্তা চুক্তি চান বাংলাদেশের মানুষ।

সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরও জানায়, মোদি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষগুলোর ঐকমত্য তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সঙ্গে নিয়ে গত বছর বাংলাদেশে গিয়ে স্থলসীমান্ত চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন সেখানে মমতা বলেছিলেন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের পাশে রয়েছেন। তিস্তার ক্ষেত্রেও মমতার আপত্তিগুলো আলোচনায় মিটিয়ে ফেলে যাতে দ্রুত চুক্তিটি নিয়ে বাস্তবায়নের পথে হাঁটা যায়, সে ব্যাপারে শেখ হাসিনাকে আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here