গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে থাকা ছয় লাশ শনাক্ত করতে স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে।

5-1বুধবার পুলিশের ঢাকাস্থ মালিবাগে সিঅাইডি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে নিখোঁজ ৯ জনের ১৮ স্বজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। আগামী রোববার আরো দুইজনের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

হতাহতের ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও টঙ্গী থানার এসআই সুমন ভক্ত জানান, দুর্ঘটনায় কারখানার নিখোঁজ ১১ জনের স্বজনদেরই ওই ল্যাবে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কারখানার নিখোঁজ শ্রমিক জয়নুল আবেদিনের (৩৮), অপারেটর রেদোয়ান আহম্মদ (৩৭), কারখানার স্কুটিং অপারেটর মো. অনিসুর রহমান (৩০), সহকারী অপারেটর মো. জহিরুল ইসলাম (৩৮), অপারেটর রিয়াজ হোসেন মুরাদ (২২), আজিম উদ্দিন (৩৫), নাসির উদ্দিন (৩৫), মাসুম আহমেদ (৩০), রফিকুল ইসলাম (৩০) এর প্রতি পরিবারের দুইজন করে মোট ১৮ জন স্বজন তাদের রেফারেন্স ডিএনএ (লালা ও রক্ত) দিয়েছেন।

আর ক্লিনার মো. মামুন (২৮) ও চুন্নু মোল্লার (২২) স্বজনরা বুধবার সেখানে যাননি। তারা রোববার যাবেন বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন।

রেফারেন্স ডিএনএ নেন চিফ ডিএনএ এনালিস্ট আহম্মদ ফেরদৌস। এসময় টঙ্গী থানার এসআই সুমন ভক্তসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন এবং সহযোগিতা করেন।

এসআই সুমান জানান, ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার দুর্ঘটনা নিহতদের মধ্যে ছয় জনের লাশের কোনো পরিচয় মিলেনি। তাদের লাশ ঘটনার দিন থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নিখোঁজের তালিকায় ১১ জনের নাম দিয়েছেন তাদের স্বজনরা। তাই ওই ছয়টি লাশ কাদের এটি সনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ডিএনএ টেস্টের পর ফলাফল পেতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে। দুর্ঘটনায় এ যাবত ৩৫ জন মারা গেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here