ঝিনাইদহ : টানা ৭১ ঘন্টার অবরোধে ঝিনাইদহের বাজার গুলোতে বেড়েছে সবকিছুর দাম।
এ অবস্থায় আয়ে-ব্যয়ের হিসেবে বড় ধরনের ব্যবধানে নিম্ন আয়ের মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যের দাম তাদের ইচ্ছামত বাড়িয়ে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা পণ্য সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখালেও বাজারে পর্যাপ্ত দ্রব্যসামগ্রী রয়েছে।
অন্যদিকে এক শ্রেণীর কালোবাজারী, মজুদদারী, মুনাফাখোরী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যদ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পণ্যদ্রব্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। কাচাঁমালের পাইকারী ও খুচরা উভয় বাজারে শাক-সবজির দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
চালের বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ ৪০ থেকে ৪২ টাকা, বিআর-২৯ ৪০ টাকা, হাসকি ৪০ টাকা, স্বর্ণা ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকা, মোটা চাল ৪২ টাকায়, জিরা নাজির ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা,পাইজাম ৪০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৮ টাকা, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, লতা আটাশ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, চিনি গুড়া ১১০ টাকা, পারিজা ৩৮ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫০ টাকা, হাঁস ৩০০ টাকা গরুর মাংস ২৮০ টাকা ও খাসি ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের প্রতিটি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা ।
ফলের বাজারে প্রতিপিস জাম্বুরা ৬০ টাকা, বেল ৭০ থেকে ১০০ টাকা, আনারস প্রতিপিস ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, সাগর কলা ২০ টাকা, নেপালি কলা ১৫ টাকা, শবরী কলা ২৫ টাকা, চাপা কলা ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পেয়ারা ১০০ টাকা, আমড়া ১২০ টাকা, আমলকি ১০০ টাকা ও জলপাই ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি আপেল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, মালটা ১২০ টাকা, আঙুর ৪৫০ টাকা ও প্রতি ডজন কমলা ২০০ টাকা, বেদানা ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে চাপিলা শুটকি ৬০ টাকা, পুটি মাছের শুটকি ৬০ টাকা, নলা মাছের শুটকি ৬০ টাকা, চান্দা মাছের শুটকি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ প্রতি ১০০ গ্রাম চিংড়ি শুটকি মানভেদে ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, টাকি ৬০ টাকা, কাসকি ৬০ টাকা, লইট্যা শুটকি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাইম মাছের শুটকি ৮০ টাকা, এ ছাড়া প্রতি কেজি ইলিশ মাছের শুটকি ৭০০ টাকা ও কাইলা শুটকি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চন্দনা ইলিশ ১৬০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ টাকা, রুই মাছ ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ টাকা, চিংড়ি (বড়) ১ হাজার ২০০ টাকা, চাষের কৈ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি কৈ ২৭০ টাকা, টাকি ১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের বেশি প্রতিহালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা। এক কেজি ওজনের বেশি ইলিশের পিস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও প্রতিকেজি জাটকা ৩০০ টাকা, মলাঢেলা ২০০ টাকা, বাইলা মাছ ৫৫০ টাকা, কাচকি মাছ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৪০ টাকা লেয়ার মুরগির লাল ও সাদা ডিম ২৮ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আহমেদ নাসিম আনসারী/