ঝিনাইদহ: অপহরের তিনদিন পর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে নিহত ইউপি সদস্য হাফেজ আবুল কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম তিন পুলিশ সদস্যসহ ৮জনকে আসামী করে গত ২৮ এপ্রিল ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। যার নং- ১৪/১৪।

অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন, উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের (১) মতিয়ার রহমান (কালু), পিং গোলাম হোসেন (২) মজনুর রহমান, পিং মৃত আঃ ছাত্তার (৩) শাহিনুর রহমান (দুলাল), পিং ঠাণ্ডু খন্দকার (৪) জাহিদুল মাষ্টার , পিং মৃত আফজেল জোয়ার্দ্দার (৫) এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন (৬) কোটচাঁদপুর থানার সেকেণ্ড অফিসার এসআই মিজানুর রহমান মিজান, (৭) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান পিপিএম, (৮) ঝিনাইদহ বাজার গোপালপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই শিবুপদ দত্ত।

বিজ্ঞ আমলী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমানকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত ওসি’র নিকট তদন্ত দেয়ায় বাদী নিহত কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার সচেতন মানুষ হতবাক হয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের জামায়াত নেতা ইউপি সদস্য হাফেজ আবুল কালামকে বাড়ীর পাশ থেকে গ্রামের মানুষের সম্মুখে সাদা পোশাকের একদল অস্ত্রধারী তাকে তুলে নিয়ে যায়।

সেসময় আবুল কালামের ছেলে হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, কোটচাঁদপুর থানার এসআই মিজানের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে একটি নীল রংয়ের প্রাইভেট কারে তার পিতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরক্ষনেই তারা থানায় খবর নিলে পুলিশ অস্বীকার করে।

পরে কালামের পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে কালামকে গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে গেলে পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয় বলে কালামের স্ত্রী অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে আরো দাবি করা হয়, তারা গুড়পাড়া ফাঁড়িতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে কালামকে পুলিশ নিয়ে চলে যায় বাজার গোপালপুর পুলিশ ফাঁড়ি’র দিকে।

এরপর দুই দিন কালামের কোন খোঁজ মেলেনি। অপহরণের তিনদিনের মাথায় ২১ এপ্রিল সকালে কালামের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের মামুনসিয়া গ্রামের বকুলতলা মাঠে।  নিহত কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম অভিযোগ করেছেন, ১ থেকে ৫নং আসামী পুলিশের সহায়তায় তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আরিফুল আবেদীন টিটো/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here