কলকাতা : ২৬শে জানুয়ারি ভারত জুড়ে সমারোহে পালিত হচ্ছে ৬৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস।

রাজধানী নয়াদিল্লির বিজয়চকে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

সাধারনতন্ত্র দিবসের প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

উপস্থিত ছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে.অ্যান্টনি, অর্থমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা,সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা এবং দিল্লিস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

প্রজাতন্ত্র দিবসে আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাজপথের দুই ধারই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক সামরিক শক্তি এবং দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র এই কুচকাওয়াজে ফুটে উঠেছিল।

এদিন সকালে ইন্ডিয়া গেটের সামনে অমর জওয়ান জ্যোতিতে ফুল দিয়ে দেশের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড: মনমোহন সিং।

প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানী দিল্লিতে মেতায়েন ছিল কয়েক হাজার নিরাপত্তা রক্ষী। রাজধানীর বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন,বিমানবন্দর সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

প্যারেড, সামরিক কুচকাওয়াজ, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের  বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপিত হয় পশ্চিমবঙ্গেও। এদিন সকালে প্রথামাফিক সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্টিত হয় কলকাতার রেড রোডে। সেই অনুষ্ঠানে দেশটির জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম.কে.নারায়নণ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাযর্, রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য,কলকাতাস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশগ্রহন করে। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে সুসজ্জিত ট্যাবলো প্রদর্শন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here