জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের হত্যাকারীদের বিচার, দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ, অপরাধীদের আজীবন বহিস্কার, হত্যাকারীদের ছবি ও নাম প্রকাশসহ চার দফা দাবীতে ক্যাম্পাসে বুদ্ধিজীবী সংহতি সমাবেশ করেছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারটার দিকে শহীদ মিনারের সামনে তারা এই সমাবেশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহনেওয়াজ সুপ্রীম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ ব্যানারের আহবায়ক অধ্যাপক নাসিম আকতার হোসাইন, জাতীয় তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও জাবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আইন ও শালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী, সাবেক জাকসু নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সমাবেশে অধ্যাপক নাসিম আকতান হোসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের জোড়ালো আন্দোলনের কারনেই শিড়্গক সমাজ ব্যানারের শিক্ষকরা সংহতি প্রকাশ করেছে ও আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। জুবায়ের হত্যার বিচারই আমাদের কাছে মুখ্য তবে দায়িত্বহীন প্রক্টরিয়াল বডির ও পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও সকল শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবী জানান তিনি। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আন্দোলনের সফলতা তুলে ধরে আনু মুহাম্মদ বলেন, যে মারা যায় তার বিচারের প্রয়োজন হয় না কিন্তু যারা বেচে থাকে তাদের নিরাপত্তার জন্য বিচারের প্রয়োজন। তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য জুবায়ের হত্যা বিচার করা জরম্নরী। তিনি বলেন, পূর্বে বিভিন্ন আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা সফলতা অর্জন করেছে। অনেক দিন পর আবার শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে যে তাদের উপস্থিতিতে কোন রকম নিপীরণ, নির্যাতন চলবে না।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি অনেক সম্মান জনক। কিন্তু এই পদ রক্ষার জন্য যখন সন্ত্রাসীদের তোয়াজ করতে হয় তখন এর থেকে অসম্মানের আর কিছু থাকে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৌমিত চন্দ জয়দ্বীপ বলেন, জুবায়ের হত্যায় আরও ১০-১২ জন যারা আছে প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দাবী না মেনে নিলে সমাবর্তন করতে দেয়া হবে না প্রয়োজনে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।

৩৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মৈত্রী বর্মন বলেন, পূর্বেও হত্যাগুলোর বিচার করা হয়নি হলে হয়ত এ হত্যাকান্ড ঘটতনা। যদি ৩০ জানুযারির মধ্যে দাবী না মেনে নিলে আরও বড় ধরনের কর্মসূচি দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফয়সাল রহমান কিশোর বলেন, শিক্ষার্থীদেও ৪ দফা দাবি ন্যায্য দাবি। ছাত্র কিভাবে খুন হয় দীর্ঘ দিনের কাঠামোগত নিপীড়নের কারনেই এ খুন। সমাবেশে আগামী ৩০ তারিখ সিন্ডিকেটে সন্ত্রাসের বিরম্নদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারের শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনকে বলা হয়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জাহিদ সুলতান লিখন/জাবি

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here