স্টাফ রিপোর্টার :: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘মিলিনিয়াম ডেপলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করার পর আমাদের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন (এসডিজি)। আর এই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জনগণের পুষ্টির চাহিদা পূরণের দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতের জন্য এ কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নিতে হবে।’
শুক্রবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ-২০১৭ ও তিন দিনের জাতীয় ফল প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ-২০১৭। ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
এ ছাড়া ‘খাদ্য, পুষ্টি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় দেশি ফলের ভূমিকা’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফল মেলা। যেখানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭৫টি স্টল রয়েছে।
স্টলগুলোতে ১৩০ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে। এই মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশে খাদ্যঘাটতি নেই। সেজন্য আমাদের দেশবাসীকে ধন্যবাদ। এটা সম্ভব হয়েছে এদেশের কৃষকের শ্রম ও আধুনিক প্রযুক্তির উত্তম চর্চার ফলে। আমাদের দেশে খাদ্যের অভাব চলে যাওয়ার পর আমাদের দৃষ্টি এখন স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে। স্বাস্থ্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য পুষ্টির দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ এখনো দেশের মানুষের মধ্যে পুষ্টির বেশ অভাব রয়েছে। এ অভাবে নতুন প্রজন্মকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
এজন্য এদিকে ব্যাপকভাবে নজর দেয়া দরকার।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পুষ্টিচাহিদা পূরণে বিজ্ঞানীদের চেষ্টায় এখন প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফলের ৪০ ভাগ বছরে আট মাস পাওয়া যায়। আমাদের লক্ষ্য ওই ৪০ ভাগকে ৮০ ভাগে উত্তীর্ণ করা।’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে পা দিচ্ছি বলেই পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা দরকার।
বর্তমানে আমাদের দেশে একজন মানুষ মাত্র ৭৬ গ্রাম ফল খাওয়ার সুযোগ পায়। অথচ দরকার ১১৫ গ্রাম। অর্থমন্ত্রীর সাহায্য পেলে দৈনিক ফল চাহিদা ১১৫ গ্রাম পূরণ করা কঠিন কিছু নয়।’