জলবায়ু সম্মেলনে ন্যায্যতা আদায়ের দাবীতে বরিশালে মানববন্ধনবিশেষ প্রতিনিধি :: আগামী ৩-১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ পোল্যান্ডের কাতোভিতসেতে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৪) উপলক্ষে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়ন ও প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ৮দফা দাবী  নিয়ে বরিশালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সনাক বরিশাল এর উদ্যোগে  ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সনাক সহসভাপতি প্রফেসর শাহ্ সাজেদা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের ধারণাপত্র পাঠ করেন ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম।
মানবন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার ও সমাজকর্মী ডা. সৈয়দ হাবিুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন, আইসিডি এর নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার জাহিদ, সনাক এর সিএফজি বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক শুভংকর চক্রবর্তী,  খেলাঘর,বরিশাল এর সভাপতি জীবন কৃষ্ণ দে, রান এর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল আলম, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন টিআইবি’র এরিয়া ম্যানেজার-সিই মো. মনিরুল ইসলাম।
মানবন্ধনে উত্থাপিত দাবীসমূহ হল: প্যারিস চুক্তির আওতায় জলবায়ু অর্থায়নে উন্নত এবং উন্নয়নশীল উভয় শ্রেণীর দেশের জন্য আইনী বাধ্যতামূলক, একটি ‘‘স্বচ্ছতা কাঠামো” অবলম্বন করে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের শুদ্ধাচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান নীতি বিবেচনা করে ঋণ নয়, শুধু সরকারি অনুদান, যা উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞায়ন করা; স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থ নিশ্চিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের রুপরেখা চূড়ান্ত করা, উন্নত দেশগুলো হতে প্রয়োজনীয় সম্পদ (জলবায়ু তহবিল, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং কারিগরি সহায়তা) সরবরাহের জোর দাবি উত্থাপন করা; উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে চাহিদা মাফিক জলবায়ু তহবিল প্রদানে একটি সময়াবদ্ধ রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা; ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরিকল্পিত অভিযোজনের জন্য জিসিএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক তহবিল হতে প্রয়োজনীয় তহবিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যথাসময়ে, সহজে সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সমন্বিতভাবে (ক্লাইমেট ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে) দাবি উপস্থাপন করা এবং তা আাদায়ে দর কষাকষিতে দক্ষতা প্রদর্শন করা; স্বল্পোন্নত দেশে অভিযোজন বাবদ অর্থায়নের অতিরিক্ত হিসেবে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় বিশেষ তহবিল গঠন এবং তার জন্য দ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সোচ্চার হতে হবে; জলবায়ু-তাড়িত বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন, কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিতে জিসিএফ এবং অভিযোজন তহবিল থেকে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করা; এবং  জিসিএফ এর ট্রাস্টি বোর্ডের কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি সমতা-ভিত্তিক প্রতিনিধিত্বমূলক এবং কার্যকর ট্রাস্টি বোর্ড গঠন এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের অভিযোজন কার্যক্রমে অনুদানকে অগ্রাধিকার প্রদান করা।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here