তাসকিনা ইয়াসমিন :: ইউএনডিপি বাংলাদেশ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সাথে উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে বাংলাদেশ রক্ষা করতে সরকারকে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগীতা করতে যাচ্ছে।প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে ব্যায় হবে প্রায় ৮. ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আজ বুধবার প্রকল্পের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তিন পক্ষের প্রতিনিধিবৃন্দ। এই প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে বৃক্ষ নিধনের (আরইডি) কারনে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয় রোধ এবং কার্বন নিস:রনের মাত্রা হ্রাস করতে জাতিসংঘের সহযোগীতা উদ্যোগের অংশ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অনুষ্ঠিত হয়। ইউএনডিপি কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামেসিস, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আসাদুল ইসলাম এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নথি স্বাক্ষর করেন।
তিন স্বাক্ষরিত প্রকল্প, আরইডি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বহু-পাক্ষিক পরিবেশগত চুক্তি বাস্তবায়নে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু অর্থায়নে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
এরই অংশ হিসেবে প্রথম প্রকল্পটি উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে সেখানকার জনগোষ্ঠী যে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা কমাতে তাদেরকেই সাথে নিয়ে বিভিন্ন অংশগ্রহনমূলক কার্যক্রম গ্রহনের মাধ্যমে একটি পরিপূরক ব্যবস্থা সৃষ্টিতে কাজ করবে।
দ্বিতীয় প্রকল্পটি এফএও এর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারকে আরইডি প্রনয়নের প্রস্তুতির রোডম্যাপ বাস্তবায়নে আরইডি ব্যাবস্থাপনার প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা, কৌশলগত প্রস্তুতির বিভিন্ন ধাপ চিহ্নিত করা এবং আরইডি বাস্তবায়ন শুরু করতে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা সৃষ্টি করতে কাজ করে যাবে।
সর্বশেষ প্রকল্পটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক রিও কনভেনশন চুক্তির বাস্তবায়নের সক্ষমতা তৈরি এবং এ সম্পর্কিত করনীয় গুলিকে বাস্তবায়নের ব্যাবস্থাপনায় সাহায্য করবে।
জাতিসংঘের আরইডি কর্মসূচী বন নিধন থেকে কার্বন নি:সরন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে পরিবেশের বিপর্যয় হ্রাস করতে সহযোগীতা করার উদ্যোগ। প্রকল্পটি ২০০৮ সালে চালু হয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) এবং ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)এর যৌথ উদ্যোগ কারিগরি সহযোগীতা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।
আরইডি বন নিধন ও অরণ্যের অবনতির হার কমাতে এবং ২০২০ পরবর্তী বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের চুক্তির অংশ হিসেবে, যেসকল উন্নয়নশীল দেশ স্বেচ্ছায় কার্বন নিস:রন কমাতে চায় তাদের ইতিবাচক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সহযোগীতা করে।