আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

ঢাকা: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লি ও নয়ডায় জঙ্গি হানার আশঙ্কায় চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করল কেন্দ্র।সম্প্রতি নয়ডার এক বাসিন্দার কাছে সানফ্রান্সিকো থেকে ফোন আসে। বলা হয়, ১৫ অগস্ট দিন দিল্লি ও নয়ডার একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।

787বিদেশ থেকে হুমকি-ফোন আসার পরেই গোটা রাজধানী ও সংলগ্ন ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন’-এ নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে দিল্লির রেল স্টেশনগুলি ও বিমানবন্দরেও। শপিং মলগুলিকেও সতর্ক করেছে পুলিশ। অবশ্য রাজধানী শুধু নয়,  গোটা দেশ জুড়েই সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্র। অশান্তির আশঙ্কায় জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলকায় আগে থেকেই কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে উত্তর-পূর্বের ও সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলিকে।

আগামিকাল দিল্লি পুলিশের কাছে সব থেকে বড় পরীক্ষা হল লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। আগের প্রধানমন্ত্রীরা লালকেল্লার সামনের ময়দানে বুলেট প্রুফ কাচের ঘেরাটোপে থেকে বক্তৃতা দিলেও   নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসে খোলা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখা শুরু করেছেন। গোয়েন্দাবাহিনীর কর্তাদের কাছে সেটা বাড়তি উদ্বেগের বিষয়। তাঁদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর উপরে  হামলার ভয় সব সময়েই থাকে। লালকেল্লার মতো খোলা জায়গায় বক্তব্য রাখার সময়ে হামলার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। বুলেট প্রুফ কাচ এমন যে কোনও আক্রমণ প্রতিহিত করে দিতে পারে অনেকটা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এ বছর যাতে কাচের ঘেরাটোপ থেকে বক্তব্য রাখেন তার জন্য রাত পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয়ের কাছে তদ্বির করেছেন গোয়েন্দা কর্তারা।

আগামিকালের প্রস্তুতি হিসেবে লালকেল্লার ভিতরে ও আশপাশের উঁচু বাড়িগুলিতে বসেছে বিমান বিধ্বংসী কামান। সরাসরি লালকেল্লা দেখা যায় এমন প্রায় ৬০০টি বাড়ির বারান্দা ও ১০৪টি জানালার উপরে থাকছে বিশেষ। বেশ ক’টি বহুতল স্নাইপার বসানো হয়েছে। গোটা এলাকার ছবি ধরা পড়বে দু’শোটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। তিনটি কন্ট্রোল রুম থেকে নিরন্তর নজরদারি চলবে সেই সব ছবির উপরে। হেলিকপ্টার ছাড়াও চক্কর কাটবে বেশ ক’টি ড্রোন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here