কলাপাড়া : কলাপাড়ার রসুলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসলেও প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত এক বছর ধরে।
শিক্ষকরা সময়মতো বিদ্যালয়ে না আসায় সকাল ১০ টায় ক্লাস শুরু হওয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে শুরু হয় ১১টার পর।
তাই অভিভাবকরা তার সন্তানদের শিক্ষাজীবন বাঁচাতে বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাদের সন্তানদের ৫/৮ কিলোমিটার দূরের স্কুলে ভর্তি করছেন। ইতিমধ্যে অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের স্কুলে ভর্তি হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসার কারনে গত বছর তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন অদৃশ্য ক্ষমতাতাবলে প্রায় এক বছর ধরে অনুপস্থিত। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে হঠাৎ এসে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে চলে যান। তার পক্ষে ক্লাস করেন এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. সোহেল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব গাজী অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা থেকে টাকা কেটে প্রধান শিক্ষক তাকে মাসে দুই হাজার টাকা বেতন দেন। অন্য তিন শিক্ষকের মধ্যে দুই নারী শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে আসেন। তবে দুপুরে। এ কারনে বিদ্যালয়ের উপস্থিত ১১২ শিক্ষর্থীর শিক্ষাি ব্যবস্থার এ করুন হাল।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, এই চার মাসে কখনও তাদের সব বিষয়ের ক্লাস হয়নি। শিক্ষকরা এসে তাদের ক্লাসে নাম ডেকে কিছু পড়া পড়তে দিয়ে চলে যান। এমনকি হেডমাষ্টার স্যার নিয়মিত স্কুলে না আসায় তার নামও ভুলে গেছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন শিক্ষকদের যে অবস্থা তাতে আগামী বছর এই স্কুলে কোন ছাত্র-ছাত্রীই ভর্তি হবে না।
ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সালাম সিকদার জানান, গ্রামবাসী তার কাছে বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ক্লাস করেনা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। প্রধান শিড়্গক আব্বাস উদ্দিন জানান, বর্তমানে তিনি ছুটিতে আছেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন জানান, স্কুলে নিয়মিত ক্লাস না করায় এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আবার তদন্তে সে দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিলন কর্মকার রাজু/