মিলন কর্মকার রাজুকলাপাড়া প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন নোমরহাট-কালুমিয়ার বাজার ভায়া-লোন্দা সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় ধানখালীর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধসহ
স্কুল-কলেজ-মাদ্রসার অন্তত পাঁচ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ক্লাশে যাওয়া-আসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এভাবে প্রায় ১৯ কিলোমিটার সড়কটির বেহালদশা নিরসনে শনিবার দুপুরে ধানখালী ডিগ্রি কলেজের কয়েকশ’ ছাত্র- ছাত্রী ও শিক্ষকরা কলেজ বাজার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে স্থানীয় লোকজনও অংশ নেয়। তারা এ সড়কটি যে কোন মূল্যে মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবণী জানায়, এখন আর রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। লোন্দা থেকে প্রায় ১০কিমি সড়ক আসতে এখন জামাকাপড় কাদায় নষ্ট হয়ে যায়। সপ্তাহে দুএকদিনও ক্লাশ করতে পারছেনা এই শিক্ষার্থী। একই কথা বলেন কলেজ ছাত্রী ঝিনিয়া, সোনিয়া, ইশা।
প্রথম বর্ষের ছাত্র মাওয়া, মো. কালাম জানায়, এখন তাদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিএ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানা, শিলা বেগম, সাথী আকতার জানান, তাদের কলেজে আসা-যাওয়ার সমস্যার যেন শেষ নেই। কোন যানবাহনে চলাচল করতে পারছে না এসব শিক্ষার্থীরা। মাইলের পর মাইল খালি পায়ে, স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা এখন চরম বিপাকে পড়েছেন।
সকলের অভিযোগ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুত প্লান্টের মালামালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে সড়কটির সীলকোট উপড়ে এখন সোতা খালে পরিণত হয়েছে। একাধিক কোম্পানির সিমেন্ট বোঝাই ভারী যানবাহন চলেও এমন ক্ষতি করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ধানখালী ইউনিয়নের ২১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন হাজার আট শ’ শিশুর অর্ধেক স্কুলে আসতে পারছে না এই সড়কের বেহাল দশার কারনে।
কলাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস সূত্র দাবি করেছে তারা এই সড়কটির কিছু অংশ মেরামতে টেন্ডার দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাকি অংশ মেরামত করা হবে।
স্থানীয়দের দাবি, সড়কের এই বেহালদশা রোধে স্থানীয় সাধারণ সকল শ্রেণির মানুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অন্তত দশ দফা মানববন্ধনসহ সমাবেশ করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। কিন্তু তারা তাদের সমস্যা নিরসনের কোন উদ্যোগ দেখছেন না।