চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :: চুয়াডাঙ্গা শঙ্করচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম (৪৭) কে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে ব্রিজের কাছে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এসময় একই গ্রামের বিএনপি কর্মী মিলন (৩০) ও লিটন (৩৫) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুর্বৃত্তরা পরপর দু’টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত কাঙ্গালি মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, বিএনপি কর্মী মিলন ও লিটন স্থানীয় বড় শলুয়া বাজার থেকে বাজার শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে ব্রিজের কাছে পৌঁছায়। এসময় ৫/৬ জন মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে সিরাজুল ইসলামকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গুলি করে এবং মিলন ও লিটনকে পিটিয়ে আহত করে।
তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পরপর দু’টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
বোমা ও গুলির শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পরে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিরাজুল ইসলাম মারা যান।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলাম বিশ্বাস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অভিযোগ করে জানান, আ’লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
অপর দিকে, শঙ্করচন্দ্রপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানান, বিএনপির আহ্বায়ক ওহিদুল ইসলামের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, হত্যাকান্ডের কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে তাকে খুন হতে হলো। দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।