চুম্বনের ১০টি অজানা তথ্য ডেস্ক নিউজ :: ভালবাসা এবং বিশ্বাসের দ্বারাই টিঁকে থাকে যে কোনও সম্পর্ক। তবে কেবলমাত্র একটি চুম্বনই সম্পর্কের মধ্যে গভীরতা সৃষ্টি করতে সক্ষম। আধুনিক সম্পর্কে যৌনতাই হল প্রধান আকর্ষণ। তবে যৌনতাকে বাদ দিলে শুধুমাত্র চুম্বনের দ্বারাই কিন্তু সঙ্গীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করা যায়। একটা চুম্বনই আপনার প্রেমের গাঢ়ত্ব বোঝাতে পারে।

চুম্বনের মাধ্যমে আরও গাঢ় ভালবাসা জানাতে যেনে নিন চুম্বনের ১০টি অজানা তথ্য…

১. একজন মানুষ তাঁর জীবনের ২০ হাজার ১৬০ মিনিট কাটান শুধুমাত্র চুম্বন করেই। পৃথিবীর দীর্ঘতম চুম্বন হল ৩০ ঘণ্টা ৫৯ মিনিটের।

২. অ্যান্থ্রোপলজিস্টদের মতে ৯০ শতাংশ মানুষ চুম্বন করেন। তবে মানুষ বিশেষে চুম্বনের প্রকারভেদ থাকে। বিশ্বের অনেক স্থানেই চুম্বনকে একটা প্রথা হিসেবে মানা হয়।

৩. ঠোঁটের মধ্যে থাকা একটি পেশীর দ্বারাই চুম্বন করা যায়। যার নাম অরবিকুলারিস অরিস। এই পেশীর জন্যই ঠোঁট কুঞচিত করা সম্ভব হয়। চুম্বনের বিজ্ঞানকে ফিলেম্যাটোলজি বলা হয়।

৪. চুম্বন করার ফলে ১ মিনিটে মোট ২৬ ক্যালোরি খরচ করা সম্ভব। এমনকি চুম্বনের ফলে হার্টও ভালো থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরলের নিঃসরন বন্ধ করে ভালো কোলেস্টেরল নিঃসরনে সাহায্য করে। এমনকি আপনার মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে চুম্বন।

৫. চুম্বনের সময় খুব কম মানুষই ঠোঁট কুঞ্চিত করার সঙ্গে মাথা বাম দিকে হেলিয়ে দেয়।

৬. সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, যে সব পুরুষরা কাজে যাওয়ার আগে নিজের স্ত্রীকে চুম্বন করেন তাঁরা ৫ বছর বেশি বাঁচেন। এমনকি শুধুমাত্র চুম্বনই আপনার আয়ু বাড়াতে সক্ষম।

৭. মা পাখি বাচ্চাদের মুখের মধ্যে খাবার ঢুকিয়ে দেয়। গবেষকদের মতে মানুষের বাচ্চার ক্ষেত্রেও এই ভাবেই খাবার খাওয়ানো উচিত। কারণ মায়ের মুখের লালা বাচ্চার হজমের জন্য উপকারি। এর থেকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন এবং জিঙ্কের মতো প্রধান পুষ্টি বাচ্চার শরীরে যায়।

৮. সব থেকে বড় কথা চুম্বনের দ্বারাই সঙ্গী বিচার করা সম্ভব হয়। আপনার সঙ্গী আপনাকে কতটা ভালবাসেন তা জানতে পারেন চুম্বনের দ্বারাই।

৯. হেলেন ফিসার নামে একজন গবেষকের মতে, টেসটোস্টেরন হরমোন ছেলেদের লালার মধ্যেই বর্তমান। এমনকি ছেলেদের মুখের মধ্যে লালার পরিমাণ মেয়েদের থেকে অনেক বেশি হয়। চুম্বনের সময় ছেলেদের টেসটোস্টেরন হরমোন মিশ্রিত লালা যখন মেয়েদের মুখের মধ্যে যায় তখনই যৌন উদ্দীপনা জাগে।

১০. চুম্বন করার ফলে অক্সিটক্সিন হরমোন নিঃসরণ হয়। যা ভালবাসার প্রতীক।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here