ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের যোগাযোগ নীতির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘এটি প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও সার্বিক বন্ধন জোরদার করবে।’
বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরকে (বিসিআইএম-ইসি) এবং অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের দুই দেশের জনগণ আরো ঘনিষ্ঠ হবে এবং এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার চীনের কুনমিং আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে দ্বিতীয় চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং ইয়াং, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জামিল আহমেদ, লাওসের ভাইস প্রাইম মিনিস্টার সোমসাভেট লেংসাভাদ, শ্রীলংকার ডেপুটি স্পিকার চন্দ্রিমা ভিরাক্কুদি ও সার্কের মহাসচিব অর্জুন বাহাদুর থাপাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন এবং তিনি এ মেলার সফলতা কামনা করেন। মেলা আয়োজনের জন্য চীন সরকারকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের একটি প্যাভিলিয়ন ও ৭৩টি স্থল রয়েছে।
৪০টিরও বেশি দেশ এ মেলায় অংশ নিয়েছে। মেলার থিম কান্ট্রি নির্ধারণ করা হয়েছে নেপাল। এবারের মেলায় আন্তর্জাতিক এ বিনিময় মেলার মাধ্যমে চীন, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার করা সম্ভব বলে মনে করছেন আয়োজকরা।