স্টাফ রিপোর্টার :: চলতি বছর ঢাকা মহানগরীতে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ সীমিত হলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষ এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এসএম আলমগীর বলেন, এডিস এ্যাজিপতি ও এডিস এ্যালবোপিকটাস এই দুই প্রজাতির মশার কারণে চিকুনগুনিয়া রোগ হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে এডিস এ্যালবোপিকটাস মশার উপস্থিতি শহরের চেয়ে অনেক বেশী। দেশে চিকুনগুনিয়া রোগী প্রথম সনাক্ত হয় ২০০৮ সালে রাজশাহীর পবা উপজেলায়।
তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়ার বিশেষ কোন চিকিৎসা নেই। এ জন্য এ রোগের কারণ এডিস মশার প্রজনন স্থল নির্মুলে সকলকে সচেতন হতে হবে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা বলেন, চলতি বছর জুন পর্যন্ত আমরা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত সন্দেহে ১৯৩০ জন রোগী পেয়েছি। চলতি বছর রাজধানীতে এ রোগের প্রকোপ দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে। এর বিস্তার রোধে এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজনন স্থলগুলো নির্মূলে সচেতন হতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিকুনগুনিয়া রোগীকে পর্যাপ্ত পানি পান করা ও বিশ্রাম নিতে হবে। এ রোগে ল্যাবরেটরী টেস্টের প্রয়োজন নেই। কারণ কিছু উপসর্গ দেখেই এ রোগ চেনা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মশা বাহিত অন্যান রোগের মতো চিকনগুনিয়া ততো মারাত্মক নয়। কোন বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই এক নির্দিষ্ট সময়ে এ রোগ ভাল হয়। এ রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা রোগ নির্ণয়ের জন্য যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
চিকুনগুনিয়ার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অতি মাত্রায় জ্বর, মাংসপেশী ব্যথা, মাথা ব্যথা, র্যাশ ইত্যাদি।