আমেরিকায় বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের কথা বলতে শিগগিরই ভার্জিনিয়া থেকে যাত্রা শুরু করছে ‘ডিটিভি ইউএসএ’।

টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রস্তুতির কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছেন উদ্যোক্তারা। আগামী মাস থেকেই বড় পরিসরের এই  টেলিভিশনটির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার এই টেলিভিশন চ্যানেলে প্রতিদিনই থাকবে খবর। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক বিনোদন দিতে প্রচারিত হবে বাংলাদেশ ও আমেরিকার সেরা নির্মাতাদের নাটক, টেলিফিল্ম ও চলচ্চিত্র। সচেতন বাঙালিদের জন্য প্রতিদিনই থাকবে আমেরিকা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সমসাময়িক বিষয়ের ওপর ‘টক শো’এবং বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। থাকবে শিশু কিশোরদের জন্য অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক অনুষ্ঠান, চাকরির খবর, ক্যারিয়ার গঠন, ইমিগ্রেশন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইন বিষয়ক নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার করবে ‘ডিটিভি ইউএসএ’ ।

ভার্জিনিয়াসহ আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসব সরাসরি সমপ্রচার করবে ডিটিভি। প্রতিদিনই থাকবে প্রবাসীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড, সাফল্য, বিভিন্ন সোসাইটির অনুষ্ঠান, অপরাধ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।

ঢাকাতেও ব্যুরো অফিস স্থাপন করেছে ‘ডিটিভি ইউএসএ’। দেশের আনাচে কানাচের স্বজনদের খবর প্রবাসীদের সামনে তুলে ধরতে কাজ করবে ব্যুরো অফিসটি। ভার্জিনিয়ার পপলার রোড স্টারলিংক এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ডিটিভির মূল অফিস।

ডিটিভি ইউএসএ’র উদ্যোক্তা নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক এস এম মাহবুবুর রহমান মিঠু বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় সহায়ক। রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণী বিষয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা। প্রতি বছরই বাংলাদেশের সরকার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আমেরিকা আসেন।  প্রতিবছরই অসংখ্য সাংবাদিক তাদের পেশাগত কাজেও আমেরিকা ভ্রমণে আসেন। বাংলাদেশের মানুষ এখানে বসবাস করলেও দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিষয়ে খুব একটা খবর জানার সুযোগ তাদের হয় না। এর অন্যতম কারণ দিন-রাতের বিশাল ব্যবধান। তাছাড়া বাংলাদেশের সামগ্রিক বিষয়ে টিভি বা পত্রিকার মাধ্যমে যতটুকু জানার সুযোগ হয় তা নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশের কোনো মাধ্যম নেই বললেই চলে। প্রবাসীরা তাদের মতামতও তুলে ধরতে চান, বলতে চান কিন্তু নানা কারণেই সেটা সম্ভব হয় না। আর সেটাকে সম্ভব করতেই ডিটিভি ইউএসএ চালু করার কথা চিন্তা করেন এস এম মাহবুবুর রহমান মিঠু।

অন্যদিকে, আমেরিকায় লাখো বাঙালি তাকিয়ে থাকেন বাংলাদেশের স্বজনদের খবর জানতে। সেইসঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ এবং প্রবাসীদের ২৪ ঘণ্টার খবর বা বিনোদন দিতে এখানে টিভি মাধ্যম নেই বললেই চলে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই ডিটিভি ইউএসএ কাজ করবে এবং এটি প্রবাসী বাঙালিদের প্রাণের এবং পারিবারিক টেলিভিশন হিসেবে জায়গা করে নিতে পারবে বলে উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস।

কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ব্যুরো অফিস ছাড়াও বিশ্বের বাংলা ভাষার মানুষ যেখানে আছে সেখানেই অফিস স্থাপন করা হবে। বিশ্বের সব দেশের খবর কভারে থাকবে নিজস্ব প্রতিবেদক।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here