জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না পেয়ে এক অটোরিক্সা চালককে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে অর্কো নামের দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশ। মুমুর্ষ অবস্থায় আহত অটোরিক্সা চালক পলাশকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের মাদাম জিরো পয়েন্টে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ অটোরিক্সা চালকরা গাছের গুড়ি ফেলে ওই সড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। এ সময় সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দূর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষুব্ধ চালকরা জানান, শহরের ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে থেকে অটোরিক্সা নিয়ে চালক পলাশ মাদাম জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে ট্রাফিক পুলিশ অর্কো ওই চালকের কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ সময় পলাশ তাকে ৩০০ টাকা দিলে তিনি পুরো টাকার জন্য পলাশকে লাথি মেরে টানা হেঁচড়া করে বেদম মারধর করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয় জনতা ওই ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে উত্তেজিত অটোরিক্সা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে এসে সড়ক অবরোধ করে। এর আগেই অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ছবি তুলতে বাধা দেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, যে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তা লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ অর্কো জানান, অবৈধভাবে চালিত অটোরিকশা প্রতিদিন একটি করে ধরে নিয়ে মামলা দেয়া হয়। ওই অটোরিকশাটি ধরার পর সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে ধরতে গেলে সে পড়ে গিয়ে আহত হয়। ৫০০ টাকা চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, ৫০০ টাকার মামলা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ দিকে হাসপাতালে আহত পলাশকে দেখতে এসে তার মা লায়লা আক্তার বলেন, চাঁদা না পেয়ে পুলিশ আমার ছেলেকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে, এ ঘটনার বিচার দাবী করেন তিনি।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জয়নাল আবেদীন জানান, পলাশের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তার ডান পা ভেঙে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।