পাবনা : চলন বিল থেকে নামতে শুরু করেছে বর্ষার পানি। কাঁদা জলে চলছে আমন ধান কাটা।

ধান কাটা মাত্রই জমি পরিষ্কার করে বিনা চাষে কাঁদা মাটিতে চলছে রসুন লাগানোর কাজ।

ধানের খর বা কচুরি পানা দিয়ে রপনকৃত রসুল ঢেকে দেয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই রসুনের চারা বের হবে। দুই হাত অন্তর বাঙ্গি চাষের জন্য জায়গাও রাখা হচ্ছে রসুনের জমিতে।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে চলনবিলে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় রসুনে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে রসুন চাষে প্রতি বিঘায় সার্বিক ৩৫-৪০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।

তাছাড়া চলতি বছরে বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ, নিড়ানি, শ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবছরে রসুন চাষে প্রতি বিঘায় ৫-৭ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলার কাচিকাটা গ্রামের কৃষক হোসেন আলী জানান, এবছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন । বীজ, সারও কীটনাশক বাবদ বিঘাপ্রতি তার খরচ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। নিড়ানিসহ শ্রমিক খরচ হয়েছে ৭ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা।

তবে রসুনের সাথে একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে ১০ বিঘা জমিতেই বাঙ্গি আবাদ করেছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে প্রতি বিঘায় উৎপাদন খরচ বাদে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আসা করছেন।

একই গ্রামের রসুনচাষী আক্কাস আলী, শাহাবুর মিয়া খাঁন জানান, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে চলনবিল অঞ্চলে ‘বিনাচাষে রসুন’ আবাদ শুরু হয়। এপদ্ধতিতে রসুন চাষ করে চলন বিলের কৃষক সমৃদ্ধশালী হলেও গত ৫ বছরে রসুনের দরপতনের কারণে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

কলিট তালুকদার/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here