চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র জয় চৌধুরীআকাশ নিবির :: চলচ্চিত্রে যখন নায়ক সংকট, ঠিক তখনই মাষ্টারমেকার মালেক আফসারী তার পরিচালিত ‘অন্তর জ্বালা’ দিয়েই অনেকেজর নজরকেড়ে আর তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাই করে নিয়েছে এই নবাগত হিরো। যার শুরু থেকে নিজের সন্তানের মত সার্পোট দিতেন বাংলা সিনেমার কালা মানিক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। মূলত ফ্যামিলী গত ভাবে কাকা-ভাতিজা তারা।

বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে জয় চৌধুরীর অভিষেক ঘটে গুণী পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘এক জবান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়ে জয় চৌধুরী বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও এবং দ্বিতীয় চলচ্চিত্রে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে সক্ষম হন। পরবর্ত্তীতে আবার ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘হিটম্যান’ দিয়ে পূনরায় আবার আলোচনা দিয়ে চলে আসে এবং নিজেকে স্বপ্নের দার প্রান্ত পৌছে যান তিনি। এরপর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আর।

মূলত নিজের একান্ত আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্রে নিজের শক্ত অবস্থানের চেষ্টা করছেন তিনি। প্রথমে ডিপজলের হাত ধরে মিডিয়া আসেন তিনি। পরে এফআই মানিক তাকে একজন অভিনেতা বানিয়ে দেন। যার পরিপক্ষ স্বাক্ষী কোরিওগ্রাফার মনজুর আহমেদ। এর পিছনে অনেক ইতিহাসও জড়িত। এরপর খোকন রেজভী পরিচালিত ‘ভালোবাসলে দোষ কি তাতে’, ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘আজব প্রেম’ ও ‘হিটম্যান’ এ কাজ করে নিজেকে আরো প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন তিনি। এ ছাড়াও নজরুল ইসলাম বাবু পরিচালিত ‘চিনি বিবি’, আবুল কাশেম মন্ডলের ‘ক্ষনিকের ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন তিনি।

এরপর মালেক আফসারী পরিচালিত ‘অন্তর জ্বালা’য় দুলালের চরিত্র আর বড় ভাইয়ের প্রতি ভালবাসা দেখিয়ে কোটি সিনেমাপ্রেমী ভক্তদের হৃদয়ে নিজের শক্ত একটি অবস্থান করে নেন জয় চৌধুরী। যা ছিলো তার জীবনের সব চেয়ে বড় সাফল্যে। যাহা চারিদিকে এখন আলোচনার ঝড় ও আগামী দিনের নতুন কাজের অনুপ্রেরণা যোগায় তার।

এ প্রসঙ্গে জয় চৌধুরী বলেন, আমি মিডিয়াতে একেবারেই নতুন। এখনও সবার কাছে থেকে শিখছি। এত অল্পদিনেই মানুষ আমাকে যে পরিমান ভালোবাসে তাতে আমি সত্যি মুগ্ধ। যতজন মালেক আফসারী স্যারের ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমাটি দেখেছেন ঠিক ততজনই সিনেমাটি দেখে বেশ আবেগ আপ্লুত হয়েছেন আর আমাকে তাদের ভালবাসায় ভাসিয়ে দিয়েছে। যা আমার আগামী দিনের কাজ গুলি করার আরো অনুপ্রিয়ণা জুগিয়েছেন। আমি সত্যি এ মানুষগুলির প্রতি চির কৃতজ্ঞ।

ইতিমধ্যে একাধিক চলচ্চিত্র কাজেরও চুক্তি করে ফেলেছেন তিনি। এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- মালেক আফসারী পরিচালিত ‘হ্যালো’, এর পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বি. কে. আজাদ পরিচালিত ‘দোস্ত দুশমন’ ও রিতুব্রত ভট্টচার্য পরিচালিত ‘জিরো পয়েন্ট’। যাহা নতুন বছরের শুরুতেই শুটিং এর জন্য নিজেকে তৈরী করছেন। এর পাশাপাশি আরো একাধিক চলচ্চিত্র নিয়েও কথা বার্তাও চলছে।

এছাড়াও জয় চৌধুরী’র আগামী বছর মুক্তি প্রতিক্ষীত রয়েছে কাজল কুমার বর্ধনের ‘অবাস্তব ভালবাসা’, এ কিউ খোকনের ‘ভালোবাসি কতো, বুঝাবো কেমনে’, ফারুক হোসেনের ‘কাকতারুয়া’ চলচ্চিত্রগুলি। সে কি পারবে? নতুন হিসেবে আবারও নতুন বছরে ‘অন্তর জ্বালা’য় দুলালের ক্ষ্যাতি ছাড়িয়ে চলচ্চিত্রে এই দুর-সময়ে আরো উপরে টেনে তুলতে। সেটাই দেখার আশায় আছে আরো গুনি নির্মাতারা।

গত ১৫ডিসেম্বর রেকর্ড ১৭৫টি সিনেমা হলে মুক্তি পেল মালেক আফসারী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অন্তর জ্বালা’। এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরীমণি ও জায়েদ খান অভিনয় করেছেন। পরীমণি অভিনয় করেছেন সোনা চরিত্রে। মূলত প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার ভক্তের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জায়েদ। আর জায়েদ খানের ভাইয়ের ছোট ভাই দুলালের চরিত্রে কাজ করেছিলেন জয় চৌধুরী। যে চরিত্র দিয়েই সবার নজড়েও এসেছেন তিনি। এছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন, মৌমিতা, চিকন আলী, বদ্দা মিঠু, মিজু আহমেদ, অমিত হাসান প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here