মোহাম্মদ হোসেন, হাটহাজারী,(চট্টগ্রাম)

ভয়ং্‌কর মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে রেললাইনের পাশে শতাধিক পরিবার বসবাস করছে। তাদের বসবাসের কোন ঠিকানা না থাকায় আশ্রয় নিতে হয়েছে রেললাইনের পাশে। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেললাইনের বিভিন্ন স’ানে রেললাইনের জায়গার ওপর ঝুপড়ি ও পরিত্রাক্ত রেল কোয়াটার গুলোতে তারা মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। মাঝে মধ্যে রেলওয়ে পুলিশ তাদেরকে উচ্ছেদ করা হলেও তাদের বসবাস টেকাতে পারেনি। এক তর্থ্য ভিত্তিতে দেখা যায়,চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশন থেকে শুরু করে নাজিরহাট পর্যন- ছিন্ন মুলক শতাধিক পরিবার বাঁচার আশায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাসের জন্য ঝঁকিপুর্ণ রেলওয়ের  স’ান গুলোতে।

রিকসা চালক নাজিম উদ্দিন বলেন, সব জিনিস পত্রের দাম বাড়তি, ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতে আমাদের পক্ষে সম্ভব না যার কারনে এখানে বসবাস করতে হচ্ছে। জীবন বাঁচানোর জন্য সাজেদা বিভিন্ন স’ানে গিয়ে গরুর গোবর এনে তা রেললাইনের পাশে শুকিয়ে বিক্রি করে সংসার চালায়। স্বামী হারা সাজেদা নোয়াখালী থেকে প্রতিবেশির কথায় চট্টগ্রামে আসেন। কয়েকমাস বসি-তে বসবাস করার পর সেখানে ভাড়া দিতে না পেরে চলে আসেন রেলওয়ে পরিত্যাক্ত এ জায়গায় একটি থাকার আস-ানা গড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা গছে, চট্টগ্রাম কদমতলী,ঝাউতলা,ষোলশহর,ক্যান্টমেন্ট,ফতেয়াবাদ ও হাটহাজারীর রেললাইনের পাশে এভাবে প্রায় শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। রেললাইনের পাশে ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে সংসার পেতেছেন। রান্না কাজসহ যাবতীয় কিছু এর ভিতর চলে। এসব লোকজনের কেউ কেউ পরিত্যাক্ত কন্টেইনারবাহী বগির ভিতর না পরিত্যাক্ত রেলওয় কোয়াটার গুলোতে ঝুকিপুর্ণ ভাবে বসবাস করছে।

দেখা গেছে, দু’বছরের বাচ্চা রেললাইনের উপর বসে আছে তাদের পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। ওই সময়ে ট্রেন এলে অথবা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এদের বাঁচার কোনো উপায় নেই। এসব লোকজনের বাসস’ান না থাকায় এ ভাবে ঝুকিপুর্ণভাবে বসবাস করছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here