নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কামতা এলাকায় শনিবার দুপুরে নতুন গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স এমডি এম এ বাকী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরম্নল হামিদ বিপু।
এখানে ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের মজুদ আছে বলে ধারণা করছেন বাপেক্স।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ বাকী। এ সময় পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়েছে।
রূপগঞ্জের কামতায় ২৬তম গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ বাকী জানান, এখান থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পাইপলাইন নির্মাণ সাপেক্ষে ২ মাস পর থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৪ জুন এ ক্ষেত্রেটির আওতাধীন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় অবস্থিত কামতা কূপে আগুন প্রজ্বালন করা হয়। প্রায় দুই মিটার উঁচু শিখা জ্বলে উঠে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, বাপেক্সের দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের পর এখানে অনুসন্ধান কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রায় ৩ হাজার ৬০০ মিটার গভীর অনুসন্ধান কূপটির একেবারে নিচের দিকে মাত্র দেড় মিটার পুরু একটি গ্যাসের স্তর পাওয়া যায়। কূপটির ৩ হাজার ৩০০ মিটার গভীরে গ্যাসের আরেকটি স্তর চিহ্নিত করা হয়। ২০১০ সালে রূপগঞ্জের দাউদপুর, ভোলাব, কাঞ্চন, গোলাকান্দাইল, ভুলতা, মুড়াপাড়াসহ ১০৯ লাইন কিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ করে।
রূপগঞ্জের কামতা গ্যাস কূপ ক্ষেত্রে কর্মরত কয়েকজন বলেন, প্রায় তিন হাজার ৬০০ মিটার গভীর অনুসন্ধান কূপটির একেবারে নিচের দিকে মাত্র দেড় মিটার পুরু একটি স্তর ১৪ জুন সফলভাবে গ্যাস প্রবাহিত করা হয়। শনিবার গ্যাস প্রজ্বালনসহ উত্তোলন শুরু হয়েছে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ বাকি আরো বলেন, কূপটির ওপরের দিকে প্রায় দুই মিটার উঁচু শিখা জ্বলেছে। এই ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এম আর কামাল/