Barry S. Gusi, Chairman ‘The Gusi Foundation (Phillipains) visited DORP central office at Dhakaস্টাফ রিপোর্টার :: ফিলিপাইনস্থ গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান, এ্যামবাসেডর মিঃ ব্যারি এস. গুসি বাংলাদেশে এসে বেসরকারী সংস্থা ডরপ’ কার্যক্রম পরিদর্শণ করে গেছেন। অতি সম্প্রতি ব্যারি এস. গুসি রাজধানীর কয়েকটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ রুপগঞ্জে ডরপ’র ঢাকা ওয়াসার আওতায় পরিবেশ বান্ধব টেকসই পানি সরবরাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করে শেওড়াপাড়াস্থ ডরপ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। সাথে ছিলেন ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশে প্রথম ‘গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০১৩’ বিজয়ী এএইচএম নোমান।

ব্যারি এস. গুসি ডরপ কর্মকর্তা কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বৈঠক করেন এবং বলেন, ‘নিজেকে ভালবাসো, মানুষকে ভালোবাস, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখ, আশাকে জিয়ে রাখ, আস্থাবান থাক, তবে তুমি সফল হবে। যে তোমাকে ভালোবাসে না তার সংস্পর্শে আসার দরকার নাই। বাংলাদেশ একটি সম্পদশালী দেশ, একে ব্যবহার করে আরো সম্পদশালী করা যায়’

তিনি আরো বলে, ‘গুসি হলো মানুষের শান্তির জন্য। বাংলাদেশীদেরকে গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। তোমরা স্বপ্ন দেখ ঢাকা এক সময় ইউরোপেরমত পরিচ্ছন্ন আদর্শ শহর হবে’।

ব্যারি এস. গুসি বিশ্বের, সমাজের গরীব, সাধারণ জনগণের কল্যাণে বিশেষ অবদানে নিয়োজিতদেরকে চিহ্নিত ও অনুকরনীয় করে তোলার জন্য ধনীদের সঙ্গেও তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজ করতে হয়। তাই গুসি লরিয়েটদেরকে আরো গণমূখী ও একইসঙ্গে দুনিয়াকে জানান দেয়ার জন্য মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্রীয়ায় প্রচারমূখী হওয়ারও আহবান জানান।

Barry S. Gusi, Chairman ‘The Gusi Foundation (Phillipains) visited DORP central office at Dhakaবাংলাদেশে প্রথম আগমন উপলক্ষ্যে ডরপ’র পক্ষ থেকে পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান তাঁর হাতে শুভেচ্ছা স্বারক ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় পরিচালক মো: হায়দার আলী খান, বদিউল আলম, কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, সামছুন নাহার নাজু, কামরুন নাহার মিথুনসহ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল- ফিলিপাইনের ১৪৭৪ রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশে গঠিত একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। ‘ক্যাপ্টেন গেমিনিয়ান যেবিয়াত গুসি’ মানবাধিকার রক্ষায় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপানের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। তার স্ত্রী ম্যাডাম তিয়োদরা সুতেজো গুসি ফিলিপাইন ব্যাপী বঞ্চিত গরীব মা, শিশুদের নিয়ে কাজ করতেন। এ দুইজনের মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিতি লাভকারী তাদের সন্তান বেরি এস. গুসি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে ২০০২ সাল থেকে গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড প্রবর্তন করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ৪র্থ বুধবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান করে থাকে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিন জনকে গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email