মেহেরপুর থেকে জাহিদ মাহমুদঃ গত ৪৮ ঘন্টায় গাংনী আওয়ামীলীগ সমর্থিতরা বিএনপি’র ১৫ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন আমতৈল ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ হাফিজুর রহমান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগের ক্যাডার শুকনাল ও জান্টু’র নেতৃত্বে কিছু ক্যাডার ঈদের দিন ও ঈদের পরের রাতে আমতৈল গ্রামের বিএনপি নেতা ও ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান ছাবদাল হোসেন কালু, মুনছার, হান্নান, বিল­াল, মাবুদ, হারেজ, বদর, রশিদ, নিজাম, গিয়াস, হামেদ, ময়েজ, ইকবাল, সাত্তার ও তরিকুলের বাড়ি ভাংচুর করে ও লুটপাট চালায়। গ্রামে দু’মুক্তিযোদ্ধা নিহতের ঘটনায় বিএনপি’র লোকজন মামলা হামলায় ভয়ে পালিয়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের অনেকেই জানান, গত ২৩ আগষ্ট বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে আহত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ও ইসরাইল হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে  গাংনী থানায় দুটি মামলায় ৮ জনকে আসামী করা হয়। সে থেকেই ভয়ে গ্রামের বিএনপি সমর্থকরা মামলা হামলার ভয়ে পালিয়ে গেছে। এর পর থেকে আওয়ামীলীগের ক্যাডার শুকনাল ও জান্টুসহ ১০/১৫ জন ছেলে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। গত আড়াইমাসে গ্রামের বিএনপি নেতা কর্মীদের ৭৮ টি গর“, ১৫ টি ছাগল, এবং বাড়িঘর লুটপাট চালিছে। প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির আসবাবপত্র, টিভি ফ্রিজ লুট করে নেয়।

আমতৈল গ্রামের নাজের আলীর স্ত্রী হাফেজা জানান, তার বাড়ির ৫ টি গরু নিয়ে গেছে। পুলিশের লোকজনকে জানানোর পরেও কোন বাধা দেইনি। পানির টিউবয়েল ও মাঠের স্যালোমেশিন পর্যন্ত জোর করে লুট করে নিয়েছে। জোর করে ফসল কেটে নিয়ে গেলেও কেউ প্রতিবাদ করার মতো নেই। শ­ীলতা হানীর ভয়ে সিংহ ভাগ পরিবারের মহিলারা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। গোটা গ্রাম এখন শ্বশান।

আমতৈল পুলিশ ক্যাম্প ইন্চার্জ হাফিজুর রহমান জানান, লোকবল সংকটের কারণে তিনি সব কিছু সামাল দিতে পারছেন না। গাংনী থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন বিষয়টি তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে মেহেরপুরের এসপি রকিবুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেননা বলে জানান।

এদিকে ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে জানান, কারা এ ঘটনা ঘটাচ্ছে তা জানা নেই তবে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা দুঃখ জনক।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জাহিদ মাহমুদ/মেহেরপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here