সঞ্জিব দাস।

গলাচিপা: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কলাগাছিয়া গ্রামের মাষ্টার বাড়ির নিতাই মাষ্টারের বড় ছেলে নিমাই চন্দ্র দাসের পরিবার ঢাকা জেলার দোহার থানার ডিলার সমবায় সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমানের কাছে জিম্মি।

05জানা যায়, নিমাই চন্দ্র দাস দীর্ঘ বার বছর যাবৎ ঢাকার শহরের বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানির সাথে সুনামের সহিত চাকুরী করে আসছিলেন। আজ থেকে তিন বছর আগে লুৎফর রহমান দোহার থানার হাইস্কুল মার্কেট নামক স্থানে কসমেটিক্‌স ব্যবসা করতেন। আর নিমাই চন্দ্র দাস ছিলেন একটি কসমেটিক্‌স কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। সেই সুবাদে নিমাই চন্দ্র দাসের সাথে পরিচয় হয়ে সু-সম্পর্ক তৈরি হয়।

নিমাই চন্দ্র দাস দীর্ঘ বার বছর বিভিন্ন মার্কেটিং কোম্পানিতে চাকুরি করায় মার্কেটিং ব্যবসা সম্বন্ধে নিমাই চন্দ্র দাসের ভালো অভিজ্ঞতা। তাই লুৎফর রহমান মার্কেটিং ব্যবসা করবে আর নিমাই চন্দ্র দাসকে এস.আর.হিসাবে মোট অংকের টাকা বেতন দিবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে নিমাইয়ের পুরানো কোম্পানি “চয়েস বাংলাদেশ” থেকে চাকুরি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। নিমাই চন্দ্র দাস লুৎফর রহমানকে বিশ্বাস করে চাকুরি ছেড়ে দেন। নিমাই চন্দ্র দাস যোগদান করে লুৎফর রহমানের আলামিন জেনারেল স্টোর নামক ডিলারে এস.আর.হিসাবে।

সতেরো হাজার টাকা মাসিক বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও নিমাইকে বেতন দেন দশ হাজার টাকা করে। দশ হাজার টাকা বেতন পেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন পার করতে থাকেন নিমাই চন্দ্র দাস। সহজ সরল নিমাই দাসকে ডিলারী ব্যবসা করিয়ে দিবে বলে রাজি করেন লুৎপর রহমান। নিমাই চন্দ্র দাস বাবার সম্পত্তি বন্দোক রেখে দুই লক্ষ টাকা লুৎফর রহমানকে দিয়ে দেন।

দুই লক্ষ টাকা নিমাই লুৎফরকে দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নিমাইর উপর অমানবিক শারিরীক নির্যাতন। নির্যাতন করতে করতে নিমাই চন্দ্র দাসকে অতিষ্ট করে ফেলে এবং একপর্যায়ে নিমাইকে তারিয়ে দেয়। এবং নিমাইর কাছ থেকে তিনটি ব্লাংক স্টাম্পে ও একটি লুৎফর রহমানের কৃষি ব্যাংকের চেকে সই রাখে। আর নিমাইকে বলে তুই ভারত চলে যা তোকে আমার চোখের সামনে দেখলে মেরে ফেলব।

লুৎফর রহমানের নির্যাতনের আঘাত নিমাই চন্দ্র দাসের শরিরের বিভিন্ন যায়গায় ও বাম হাতে জখম আছে। লুৎপর রহমান ঢাকা জেলার দোহার থানার মধ্য লটাখোলা এলাকার নুর মোহাম্মাদ ও মোসা ঃ আকলিমা আক্তার এর ছেলে।

লুৎফর রহমান এর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর :-২৬০১২৯০০০০৮২। জিম্মি নিমাই চন্দ্র দাস এর স্ত্রী নিপা রানী দাস (২০) ছেলে নিরব দাস (০১) বছর ও শ্যালক বিশ্বজিৎ দাস (১৪) বছর এরা তিন জন লুৎফর রহমানের কাছে জিম্মি আছে।

এ বিসয়ে নিমাই চন্দ্র দাস বাদী হয়ে লুৎফর রহমানকে আসামী করে গত ৩০ আগষ্ট ২০১৬ ইং তারিখ গলাচিপা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নাম্বর ৩০৪/১৬।

এ বিষয়ে লুৎফর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোনে ০১৯১৭৭৩৭৭৯২ ফোন করলে ফোনটি রিসিব করেননি। এ বিষয়ে নিমাই  চন্দ্র দাস প্রতিবেদক কে জানান আমার স্ত্রী একজন প্রতিবন্ধী তার ডান পাশের চোখ নেই। আমার স্ত্রী প্রতিবন্ধী থাকায় নিরবের সেবা যত্ম অনেকটাই আমার করতে হতো। এখন ওরা আমার মহাজন লুৎফর রহমানের কাছে আটকা আছে না জানি কতোটা কষ্টে আছে।

তিনি আরো বলেন,আমার স্ত্রীর ব্যবহারিত মোবাইল ফোনটি লুৎফর রহমান যোরকরে নিয়ে গেছে। এবং আমার স্ত্রী সন্তান ও শ্যালককে আটকে রেখে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ওদের কে মেরে ফেলবে লুৎফর রহমান।

আমি সাধারন পরিবারে সন্তান আমার পক্ষে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া সম্ভব না তাই বাংলাদেশের প্রশাসনের কাছে আমার প্রানের দাবি যাহাতে আমার স্ত্রী সন্তান ও শ্যালককে ঐ লুৎফর রহমান এর কাছ থেকে উদ্ধার করে আমার কাছে ফিরেয়ে দেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here