গণতন্ত্র

স্টাফ রিপোর্টার :: বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ‘গণতন্ত্র সূচক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পাঁচটি মানদণ্ডে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি বিচার করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বুধবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৫.৫৭ স্কোর নিয়ে এ সূচকে বাংলাদেশ এবার রয়েছে ১৬৫টি দেশ ও দুটি অঞ্চলের মধ্যে ৮৮তম অবস্থানে। গত বছর এ সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫.৪৩; এক ধাক্কায় আট ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ নেমে গিয়েছিল ৯২তম অবস্থানে।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, তাদের সমীক্ষায় ২০১৮ সালে বৈশ্বিক স্কোর হয়েছে আগের বছরের মতোই ৫.৪৮। অর্থাৎ মোটা দাগে বিশ্বে গণতন্ত্রের দশায় বড় কোনো নড়চড় হয়নি।

এবারের সূচকে যেখানে ৪২টি দেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে, সেখানে ৪৮টি দেশ নিজেদের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে পেরেছে। উন্নতির ছাপ পড়েছে এশিয়ার দেশগুলোতেই বেশি। তবে ২০১৭ সালের চেয়ে কম মানুষ গত বছর গণতন্ত্রের সুফল পেয়েছে। কোনো না কোনো ধরনের গণতন্ত্র বিরাজ করছে- এমন দেশে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৭.৭ শতাংশ। আগের বছর এই হার ৪৯.৩ শতাংশ ছিল।

নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার- এ পাঁচ মানদণ্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এ সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।

এবারের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৮ সালে তাদের ভাষায় ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’ ছিল মাত্র ২০টি দেশে, যেখানে বিশ্বের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ মানুষের বসবাস। ৯.৮৭ স্কোর নিয়ে গতবারের মতোই এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষ দশে আরও আছে- আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ড।

বাংলাদেশকে এ প্রতিবেদনে রাখা হয়েছে মিশ্র শাসনের দেশের তালিকায়। যেখানে ভুটান, নেপাল, পাকিস্তানসহ ৩৯টি দেশ রয়েছে। এসব দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬.৭ শতাংশের বসবাস।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here