মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া থেকে: উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গজারিয়া উপজেলার বড় দুই দলেরই তৃণমূলে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা প্রায় ভেঙে পড়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর ও শ্রীনগর উপজেলা নির্বাচনে ঘটে যাওয়া দলী কোন্দলের পর ও সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা কাটাতে পারেনি দল দুইটি। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে এ সমস্যা প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে । অ

ন্যদিকে উপজেলা ও জেলা বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপের পরও দলীয় কোন্দল মিটাতে ব্যার্থ হয়েছে তারা ।

দলীয় কাগজে-কলমে বিএনপি-আ লীগ থেকে একক প্রার্থী ঘোষনা দেয়ার পরও দলের সমর্থনের বাইরে প্রত্যাক উপজেলায় একাধিক নেতা প্রার্থী হয়েছেন ও হচ্ছেন। কয়েক ক্ষেত্রেই জেলা কমিটি ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও তৃণমূল পৃথক প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে ও দিচ্ছে। ব্যক্তিগত সিদ্ধানেত্ম ও কেউ কেউ প্রার্থী হচ্ছেন। ফলে নির্বাচন ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভক্তি, উত্তেজনা; এমনকি সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে একই দলের একাধিক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

প্রার্থীরা অভ্যিোগ করছে তৃনমুলে শক্তিশালী প্রার্থীদের মনোনয়ন না দিয়া কেন্দ্রীয় নেতার গ্রুপিং লবিং করে প্রার্থীদের মনোনয়

দিচ্ছে যার ফলে কিনা ঘটছে এসব ঘটনা । তৃনমুলের জনগনের এই নির্বাচনে জয় লাভের ক্ষেত্রে তৃনমুল নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া উচত বলে তারা দাবী জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল মান্নান দেওয়ান মনা অভিযোগ করে বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে উপজেলা বিএনপি তাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। উপজেলা বিএনপি ও সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সিদ্ধানত্ম উপেক্ষা করে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল হাই রহস্যজনকভাবে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ মজিবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতির প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধানত্ম তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মী প্রত্যাখ্যান করেছে।

জাতীয় নির্বাচনে এ আসনটি বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। বেরিশরভাগ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করে আসছেন।

কিন্তু দলীয় এ কোন্দল চলতে থাকলে এর মারাত্ত্বক প্রভাব উপজেলা নির্বাচনে পরবে বলে মনে করছে স্থানীয় বিএনপি সমর্থকরা ।

অন্যদিকে গজারিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান (তোতা) দলীয় সমর্থন ঘোষনার পর ও অপর আওয়ামীলীগ

প্রার্থী আমিরল ইসলামের প্রার্থী সমর্থকরা দাবী করছে আমিরুল ইসলাম কে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়েছে । দলী এ কোন্দলে

আওয়ামীলীগে দুপক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষে ঘটনায় প্রার্থী ও সমর্থকরা মারাত্বক আহতে ঘটনা ও ঘটেছে ।

দলীয় এ কোন্দল এর সমঝোতা না হলে জনগন আওয়ামী লীগ এর কাছ থেকে পিছু হাটবে বলে মনে করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।

সুজন/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here