খুলনায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে পাঁচজন নিহত এবং নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কয়রা উপজেলার উত্তর খেওনা গ্রামের আদিলুদ্দীন গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী (৫০), মেগারাইট গ্রামের শহীদ গাজীর ছেলে শরিফুল ইসলাম গাজী (৩৫), ফতেপুর গ্রামের কালা জামানের ছেলে নূর ইসলাম (৩৫), বাগালী গ্রামের ছৈলুদ্দিন গাজীর ছেলে আবু তালেব গাজী (৪০) ও দক্ষিণ বেদকাশি গ্রামের হামিদ গাজীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক গাজী (৪০)। নিহতরা সবাই মাটিকাটা শ্রমিক। তারা ঈদ শেষে ডুমুরিয়া উপজেলার থোকড়া এলাকায় মাটি কাটার কাজে যাচ্ছিলেন।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন ও পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ জানান, কয়রা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মাটি কাটা শ্রমিক নিহত ও নারী-শিশুসহ অন্তত ২৩ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুরুতর আহতরা হলেন- মনি গাইন, খোকন মোড়ল, সোহরাব গাইন, মিজানুর রহমান, খায়রুল গাজী, রেজাউল ইসলাম ও মাদ্রাসা ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত। বাসের ছাদে অন্তত ৩০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। নিহতরা বাসে সিট না পেয়ে ছাদে আসছিলেন।
চুকনগর হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) ইমদাদুল হক বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শাহনাজ বেগম ঘটনাস্থলে স্থলে ছুটে যান।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here