কলিট তালুকদার।
পাবনা। ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যের কয়েন টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাবনার সর্বত্র ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষ। সরকারি ভাবে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও অজ্ঞাত কারণেই কেউ এই কয়েন টাকা নিচ্ছে না।
ফলে, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এই কয়েন নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। মুদিদোকান, খুচরা পসরার দোকান, মিষ্টির দোকান, যাতায়াতের ভাড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কয়েনের টাকা নিয়ে শুরু হয়েছে ভোগান্তি।
ডিমের আড়ৎদার মাসুদ রানা মানিক বলেন, ডিমের ব্যবসা করতে এসে মনে হচ্ছে খুচরা এই কয়েনের টাকা বিকিকিনির জন্য শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। ডিম বিক্রি করতে গেলেই খামারি থোকায় থোকায় দিয়ে থাকেন এই কয়েনের টাকা। বাধ্য হয়েই এই টাকা নিতে হয়। নতুবা বকেয়ার পাহাড় যেন গা জ্বালায় পরিণত হয়।
বেকারী ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, বেকারী পন্য প্রত্যেক দোকানে দিলেই যে টাকা বিল হয় তার তিনভাগের এক ভাই এই কয়েনের টাকা নিত্যে বাধ্য করেন দোকানীরা। কয়েনের টাকা না নিয়ে হয়তো পণ্য নেয়া বন্ধ নতুবা টাকা বকেয়া রাখতে বাধ্য করেন। মিষ্টির দোকানীরা জানান, যখন কয়েনের টাকার প্রচলনে কোন আপত্তি ছিল না। তখন বিপুল পরিমান ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যের কয়েন নিয়েছি। যেগুলো এখন আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণ যাত্রীরা বলেন, রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজিসহ যে কোন যানবাহনে চড়লেই কয়েনের টাকায় ভাড়া দিতে গেলেই ঘোরতর আপত্তি দেখা দেয়। অথচ এই টাকায় কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা নেই।
এদিকে এক শ্রেণির অসাধু কয়েন ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছে খুচরা এই কয়েনের টাকার ব্যবসায়। কয়েকজন খুচরা কয়েন ব্যবসার সাথে জড়িতরা বলেন, কাজ করেই খাচ্ছি। দোষের কিছু নেই। তারা বলেন, ১ টাকার এক হাজার টাকা সমমানের কয়েন দিলে সেখানে দুই থেকে আড়াই শ’ টাকা কমিশন হিসেবে বাদ দেয়া হয়। ২ টাকা মূল্যের এক হাজার টাকা সমমানের কয়েন দিলে সেখানে ২শ’ টাকা কমিশন বাদ দেয়া হয়। আর ৫ টাকা মূল্যের এক হাজার টাকা সমমানের কয়েন দিলে সেখানে ১৫০ টাকা কমিশন বাদ দেয়া হয়। তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন হাট বাজার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এই খুচরা ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যের কয়েন সংগ্রহ করে সামান্য কমিশনের মাধ্যমে এই টাকা তৃতীয় পার্টির কাছে বিক্রি করে থাকি। তৃতীয় পার্টি এই টাকা কি করেন জানতে চাইলে তারা কিছুই বলতে পারেনি।