সিএবি-তে এক টক শোয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভি ভি এস লক্ষ্মণ ও ডিন জোন্স এক সুরে বলে দিলেন, গোলাপি বলই পারে ক্রিকেটে বল ও ব্যাটের যুদ্ধের ভারসাম্য ফেরাতে।
দেশের প্রথম নৈশালোকে গোলাপি বলে ম্যাচ আয়োজনের জন্য সেজে উঠছে ইডেন গার্ডেন্স। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোলাপি বলে অনুশীলনে নেমে পড়ছে ফাইনালিস্ট দুই দল মোহনবাগান ও ভবানীপুর ক্লাবের ক্রিকেটারেরা। তার আগে বৃহস্পতিবার সিএবি-তে এক টক শোয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভি ভি এস লক্ষ্মণ ও ডিন জোন্স এক সুরে বলে দিলেন, গোলাপি বলই পারে ক্রিকেটে বল ও ব্যাটের যুদ্ধের ভারসাম্য ফেরাতে।
গোলাপি বলের সুইং ও বাউন্স সামলানো ব্যাটসম্যানদের কাছে কঠিন পরীক্ষা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও জোন্সের মতে, এতে ক্রিকেটের উপকারই হবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘এখন চারপাশে যা দেখছি, সেটা খুব নির্বোধ ক্রিকেট। গত এক দশকে ব্যাটসম্যানদের কাজটা খুব সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গোলাপি বলে লড়াইটা আবার সমান-সমান হয়ে যাবে।’’
তবে জোন্স মনে করেন না যে গোলাপি বলের লক্ষ্য শুধু টেস্ট ক্রিকেটের হারানো গরিমা ফিরিয়ে দেওয়া। ‘‘গোলাপি বল টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে আসেনি। বরং মাঠে যাতে আরও বেশি মানুষ খেলা দেখতে আসেন, সেটা নিশ্চিত করতে এসেছে,’’ বলেছেন জোন্স। সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ নিজে গোলাপি বলে খেলেছেন। কয়েকবছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এমসিসি-র হয়ে। সৌরভ টক শোয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁর অন্তত বল দেখতে কোনও সমস্যা হয়নি। সেই সঙ্গে সৌরভ বলেছেন, ‘‘গোলাপি বলই ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। কেউই যেমন ভাবেননি টি-টোয়েন্টি বা আইপিএল এত জনপ্রিয় হবে।’’ তবে গোলাপি বল কতটা ঘুরবে, আর. অশ্বিনের মতো স্পিনারদের কাছে সেটা যাচাই করে নেওয়া উচিত বলে মত লক্ষ্মণের। বলেছেন, ‘‘গোলাপি বলের নরম ব্যাপারটা অশ্বিনকে চিন্তায় ফেলতে পারে।