ষ্টাফ রিপোর্টার :: কোরবানির পশুর বর্জ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনার অভাবে দেশ শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া ও রফতানিযোগ্য বর্জ্য রক্ষায় মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের দাবি করেছে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সমিতির নেতারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা বলেন, আমরা অনেকেই জানি না পশুর বর্জ্য কী এবং এসব বর্জ্য কী কী কাজে লাগে। মূলত পশুর বর্জ্য হলো গরুর চামড়া, হাড় শিং, নাড়ি, ভুড়ি, প্যানিস, মুত্র থলি, রক্ত, চর্বি পিত্ত বা চামড়ার ওয়েষ্টেজ অংশ।
তিনি বলেন, এসব বর্জ্যের সবই শতভাগ রফতানিযোগ্য। সাধারণ মানুষ এই রফতানিযোগ্য বর্জ্য সম্পর্কে জানে না। এ ব্যাপারে সচেতন না থাকার কারণে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশ হারাচ্ছে রফতানি বাজার।
তিনি আরো বলেন, পশুর চামড়া থেকে তৈরি হয় জুতা, জ্যাকেট, বেল্ট, ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়াও বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার হয় পশুর হাড়। তাই চামড়ার কাট, ছাট, লেকসাট, ফ্লেকাট ও পশুর হাড়ের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে মাংস শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
অভিযোগ করে গোলাম মর্তুজা বলেন, রফতানিযোগ্য পশুর বর্জ্য রক্ষার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বার বার আবেদন করা হয়েছে। আমরা তার কোনো সাড়া পাই নাই। অথচ মন্ত্রালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সভা সেমিনারের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, জীবন বাঁচাতে জীবন সাজাতে পশুর বর্জ্য অপরিহার্য। তাই পশুর বর্জ্য ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে আমদের জানতে হবে। এ বিষয়ে মিডিয়া ও সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারে।
সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব রবিউল আলম, মাংস ব্যাবসায়ী মজিবুর রহমান, রুস্তম আলীসহ প্রমুখ।