কাঞ্চন কুমার, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পুরাতন টিনসেডের বিল্ডিংটি সরকার ইতিমধ্যেই পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে। এ বিল্ডিংয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন ক্লাশ হয় না।

তারপর এলজিইডি ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়ে আইডিয়াল প্রকল্পে একটি ভবন তৈরী করে। বর্তমানে এই ভবনটি অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ।

এ ভবনে ৪টি কক্ষ রয়েছে, যা বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী। কিন্ত অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এ ভাঙ্গা ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

বর্তমানে এ ভবনের ছাদের প্লাষ্টার ভেঙ্গে পড়তে শুরু করেছে। এ ভবনটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন। বিদ্যালয়টি ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতীয়করন হয় ১৯৭৩ সালে। তারপর বিদ্যালয়ে ২০০৭ সালে আরেকটি নতুন ভবন তৈরি হয়।

এ নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় পুরাতন আমলের ভবনে অফিস কক্ষ ও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

নতুন এবং পুরাতন আমলের ভবন দিয়েই কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে পুরাতন ভবনের ছাদের প্ল্লাস্টার ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা এ ভবনে ক্লাস করতে চাচ্ছে না। আবার ক্লাস না করলেও তো উপায় নেই। তাই জীবনের চরম ঝুকি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস করছে।

অবিলম্বে বিদ্যালয়টি মেরামত না করলে যে কোন মূহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সরকারী সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ ভবন মেরামত করা প্রয়োজন।

ঝুকিপূর্ণ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীরা কেন ক্লাস করছে এ প্রসঙ্গে এ প্রতিবেদক বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজেম আলী ও প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, শ্রেণীকক্ষের অভাবে এই ভাঙ্গা ঝুকিপূর্ণ ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ২০০ ছাত্র-ছাত্রী  অধ্যায়ন করছে। এ বিদ্যালয়টি উপজেলার ‘বি’ গ্রেড’ ভুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিবছর এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করে। সদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, অবিলম্বে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন দুটি  মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন।

তা  না হলে বিদ্যালয়ে ছাদ ভেঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের বড় ধরনের প্রাণ হানির ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here