সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় আসমা কিবরিয়ার দেয়া নারাজি আবেদন আগামী ৫ জানুয়ারি শুনানির জন্য পুনরায় তারিখ ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে এ আবেদনের ওপর দীর্ঘ শুনানি হয়। গত ২৮ জুন হবিগঞ্জ কগনিজেন্স আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর ভূইয়া বাবুল সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়ার পক্ষে নারাজি  আবেদনটি দাখিল করেন। কগনিজেন্স আদালত তা সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।

দীর্ঘদিন বিচারক না থাকায় আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় ছিল। মঙ্গলবার প্রায় ১ঘন্টা আবেদনটির ওপর শুনানি হয়। আবেদনকারীর পক্ষে এডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল শুনানি করেন। তার সাথে একই আবেদন জানান রাষ্ট্র পক্ষের পিপি মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ  ও স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর। তারা কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটের  অধিকতর তদন্ত দাবি করেন। তারা একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে পুনরায় তদন্ত করার আবেদন জানান। এক্ষেত্রে  সিআইডির এসপি আব্দুল কাহার আকন্দের নাম উল্লেখ করেন। শুনানি শেষে বিচারক দিলিপ কুমার দেবনাথ আবেদনটি আরো শুনানির জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

সিইডির সিনিয়র এএসপি রফিকুল ইসলাম অধিকতর তদন্ত শেষে  গত ২০ জুন  সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এর আগে ২০০৫ সালের ১৯ মার্চ একই বিভাগের সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রিয় সভাপতি একেএম আব্দুল কাইউমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিলেন। বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছিল। অধিকতর তদন্তের পর পুনরায় চার্জশিট দিলেও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীরা চার্জশিটে অন্তভূক্ত না হওযায় কিবরিয়ার স্ত্রী আপত্তি তোলেন।

উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া ও তার ভাতিজা মঞ্জুসহ ৫ আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হন। আহত হন ৭০ জন। ওই রাতেই জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান হবিগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/এমএআর শায়েল/হবিগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here