কানাডার আদালতেশুরু হচ্ছেবহুল আলোচিত পদ্মা সেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলার বিচার। আগামী বছর ১৩ এপ্রিল অন্টারিওর সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিসের আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচারের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়েছে। খবর-বাংলা প্রেস

এর আগে দফায় দফায় প্রাক- বিচার শুনানী হলে বিচারের দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।

প্রসঙ্গত,  ঘুষ দিয়ে বাংলাদেশের পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রয়্যাল অন্টারিও মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এসএনসি লাভালিনের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ইসমাইল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রমেশ শাহ,কেভিন ওয়ালেসছাড়াও বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে তোলা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আবুল হাসান চৌধুরীকে মামলা থেকে আপাতত অব্যহতি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, কানাডার আদালত থেকে তথ্য পাওয়ার পর অনেকটা লুকোচুরি করে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করে দুদক। গত ১২ জুলাই আবুল হাসান চৌধুরীকে এবং পরদিন ১৩ জুলাই সৈয়দ আবুল হোসেনকে দুদকের বাইরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে সৈয়দ আবুল হোসেন ছয় পৃষ্ঠার একটি লিখিত বক্তব্য দেন। তাতে তিনি আবারও পদ্মাসেতু প্রকল্পে ন্যূনতম দুর্নীতি বা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়নি দাবি করেন।

তাদের চতুর্থবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা মির্জা জাহিদুল আলম। এছাড়াও ঢাকায় পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় এই পর্যন্ত যত জনের নাম এসেছে তাদের সবার বক্তব্য আবার নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নেয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটির বক্তব্য।২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় (মামলা নং ১৯) মোট সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

মামলায় আসামিরা হলেন- সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ এবং প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল।তবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও সৈয়দ আবুল হোসেন এবং আবুল হাসান চৌধুরীকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছিল।

এদিকে কানাডার অন্টারিওর সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিসের আদালতে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পদ্মাসেতু দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু হবে বলে জানা গেছে।কানাডার রয়্যাল অন্টারিও মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) দাবি, পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে দুর্নীতির যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তার যথেষ্ট প্রমাণ আরসিএমপির হাতে রয়েছে এবং তারা সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করেছে।  উল্লেখ্য, ঘুষ দিয়ে বাংলাদেশের পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রয়্যাল অন্টারিও মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এসএনসি লাভালিনের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ ইসমাইল, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রমেশ শাহ, কেভিন ওয়ালেস ছাড়াও বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে আদালতের এখতিয়ার নিয়ে তোলা প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আবুল হাসান চৌধুরীকে মামলা থেকে আপাতত অব্যাহতি দেয়া হয়।প্রসিকিউশনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে,  কানাডা পুলিশ মামলাটি নিয়ে আরো কিছু তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে সূত্রটি অপারগতা প্রকাশ করে। আরসিএমপি জানিয়েছে, তদন্তনাধীন কোনো বিষয় নিয়ে তারা মিডিয়ায় কোনো ধরনের মন্তব্য করেন না।তবে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে দুর্নীতির যে ষড়যন্ত্র হয়েছে তার যথেষ্ট প্রমান তাদের হাতে রয়েছে এবং তারা সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here