মিলন কর্মকার রাজু।

কলাপাড়া(পটুয়াখালী): প্রকাশ্যে রাস্তায় বখাটেদের যৌন হয়রাণী ও শ্লীtytলতাহানীর ঘটনায় নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী দিনা আক্তারের (১৪)  স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বখাটে সাইফুল ইসলাম সম্রাট, মিঠু হাওলাদার ও মশিউর রহমানের জোড়পূবর্ক তুলে নেয়ার হুমকিতে গৃহবন্দী হয়ে পড়ায় বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার তিনটি বিষয়ের পরীড়্গা দেয়ার পর আর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেণি। এমনকি গত ১৪ দিন ধরে স্কুলেও যেতে পারছে না।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের উত্তর মাছুয়াখালী গ্রামে এ ঘটনায় থানায় বখাটেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করায় ক্ষিপ্ত ওই স্কুল ছাত্রীর বসত ঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে বখাটে সাইফুল ইসলাম সম্রাট ও ইমরানের নেতৃত্বে ১৫ সন্ত্রাসী। ২২ জুলাই এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কলাপাড়া-আমতলী সীমান্তবর্তী কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী দিনা পরীক্ষা শেষে বাসায় ফেরার পথে ওই বখাটেরা তার পথরোধ করে টানাহেচড়া করে ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় ওই ছাত্রীর ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। গত ১৩ জুলাই দুপুরে এ ঘটনায় ১৯ জুলাই স্কুৃল ছাত্রীর পিতা মিজানুর রহমান কলাপাড়া থানায় তিনজনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেণ। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২১ জুলাই ওই স্কুল ছাত্রীর বসত ঘরে সশস্ত্র হামলা করে দিনা ও তাঁর পিতা মিজানুর রহমান বেধড়ক মারধর ও মা ছালমা বেগমকে মারধর ও শস্নীলতাহানি করে। লুট করে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার।

স্কুল ছাত্রী দিনা আক্তার জানায়, সপ্তম শ্রেণি থেকে সম্রাট ও তার সহযোগীরা তাঁকে উত্তক্ত্য করছে। তার কারণে আগের স্কুল পরিবর্তণ করে এই স্কুলে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু এখানেও স্বস্থ্যি নেই। এখন ঘর থেকে বের হলেই তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়ায় ভয়ে বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীড়্গার তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা দেয়ার পর আর দশটি পরীক্ষা দিতে পারেণ নি।

স্কুল ছাত্রীর পিতা মিজানুর রহমান জানান, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় তাঁর মেয়েকে সন্ত্রাসীরা টার্গেট করেছে। সন্ত্রাসীদের হুমকিতে মান-সন্মানের ভয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেণি এখণ স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি এ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থার সহায়তা কামনা করছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here